ঈমানের অন্যতম একটি শাখা হচ্ছে লজ্জাস্থানের হিফাযত বা বৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন। আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন,

وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ

‘তারা যেন নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হিফাযত করে।[১]

মহিলাদের লক্ষ্য করে আবার বলা হয়েছে,

وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ

মহিলারা যেন তাদের লজ্জাস্থানসমূহের হিফাযত করে।[২]

সূরা আল মুমিনূনে বলা হয়েছে,

وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ

‘(সফল সেইসব মুমিন) যারা তাদের লজ্জাস্থানসমূহের হিফাযত করে।[৩]

লজ্জাস্থানের হিফাযত বলতে যৌনস্পৃহাকে অস্বীকার করা নয়। বৈধপথে যৌন চাহিদা পূরণ করা জায়েয। অবৈধ পথে যৌন চাহিদা পূরণ না করাকে লজ্জাস্থান হিফাযত’ বলা হয়েছে। এ কথাটি অন্য আয়াতে সুস্পষ্ট বলেই দেয়া হয়েছে-

وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا

‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না, কেননা তা অশ্লীল ও মন্দ পথে নিয়ে যায়।[৪]

সহীহ্ আল বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

لا يزني الزاني حين يزني وهو مؤمن ولا يسرق السارق وهو مؤمن ولا يشرب الخمر حين يشربها وهو مؤمن ولا ينتهب نهبة ذات شرف يرفع الناس اليه فيها أبصارهم حين بتتهبها وهو مؤمن

ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত থাকাবস্থায় মুমিন থাকে না। চুরি করার সময় চোরও ঈমানদার থাকে না। মাদকসেবী মাদক সেবনের সময় মুমিন থাকে না। এমনকি মানুষের চোখের সামনে লুটেরা যখন লুটপাট করতে থাকে তখন সে ঈমানদার থাকে না।[৫]

[১]. সূরা আন নূর, আয়াত : ৩০

[২]. সূরা আন নূর, আয়াত : ৩১।

[৩]. সূরা আল মুমিনূন, আয়াত : ৫।

[৪]. সূরা বানী ইসরাঈল, আয়াত : ৩২।

[৫]. সহীহ আল বুখারী, পানীয় অধ্যায়; সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায় (হাদীস-১০৮)।