জান্নাতের আছে বিভিন্ন পানীয় ও স্বাদের ঝরনা। বাগানে ঝরনাও সৃষ্টি করে আকর্ষণীয় দৃশ্য। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
অর্থাৎ, নিশ্চয় সাবধানীরা বাস করবে উদ্যান ও প্রস্রবণসমূহে। (হিজরঃ ৪৫, যারিয়াতঃ ১৫)
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي ظِلَالٍ وَعُيُونٍ
অর্থাৎ, আল্লাহ-ভীরুরা থাকবে ছায়া ও ঝরনাসমূহে। (মুরসালাতঃ ৪১)
فِيهِمَا عَيْنَانِ تَجْرِيَانِ
অর্থাৎ, উভয় (বাগানে) রয়েছে প্রবহমান দুই প্রস্রবণ। (রাহমানঃ ৫০)
فِيهِمَا عَيْنَانِ نَضَّاخَتَانِ
অর্থাৎ, উভয় বাগানে আছে উচ্ছলিত দুই প্রস্রবণ। (রাহমানঃ ৬৬)
জান্নাতের একটি ঝরনার পানি কপূর-মিশ্রিত। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الْأَبْرَارَ يَشْرَبُونَ مِن كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا (5) عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفْجِيرًا (6)
অর্থাৎ, নিশ্চয় সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানীয় যার মিশ্রণ হবে কপূর। এমন একটি ঝরনা; যা হতে আল্লাহর দাসরা পান করবে, তারা এ (ঝরনা ইচ্ছামত) প্রবাহিত করবে। (দাহরঃ ৫-৬)।
অন্য একটি ঝরনা কস্তুরী-মিশ্রিত; যা তাসনীম’ নামে প্রসিদ্ধ। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ (22) عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ (23) تَعْرِفُ فِي وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيمِ (24) يُسْقَوْنَ مِن رَّحِيقٍ مَّخْتُومٍ (25) خِتَامُهُ مِسْكٌ ۚ وَفِي ذَٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ (26) وَمِزَاجُهُ مِن تَسْنِيمٍ (27) عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا الْمُقَرَّبُونَ (28)
অর্থাৎ, পুণ্যবানগণ তো থাকবে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা সুসজ্জিত আসনে বসে দেখতে থাকবে। তুমি তাদের মুখমণ্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবে। তাদেরকে মোহর আঁটা বিশুদ্ধ মদিরা হতে পান করানো হবে। এর মোহর হচ্ছে কস্তুরীর। আর তা লাভের জন্যই প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক। এর মিশ্রণ হবে তাসনীমের (পানির)। এটা একটি প্রস্রবণ, যা হতে নৈকট্যপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পান করবে। (মুত্বাফফিফীনঃ ২২-২৮)। আরো একটি ঝরনা ‘সালসাবীল’ নামে প্রসিদ্ধ। যার পানি আদার সুগন্ধমিশ্রিত। মহান আল্লাহ বলেন,
وَيُسْقَوْنَ فِيهَا كَأْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنجَبِيلًا (17) عَيْنًا فِيهَا تُسَمَّىٰ سَلْسَبِيلًا (18)
অর্থাৎ, সেখানে তাদেরকে পান করতে দেওয়া হবে শুঠ-মিশ্রিত পানীয়। জান্নাতের এমন এক ঝরনার, যার নাম সালসাবীল”। (দাহরঃ ১৭-১৮)।