রোগ-ব্যাধি ও বিপদাপদ দূর করা অথবা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে আংটি, তাগা, সূতা ইত্যাদি পরিধান করা শির্ক - ১

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

قُلْ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ أَرَادَنِيَ اللَّهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهِ أَوْ أَرَادَنِي بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكَاتُ رَحْمَتِهِ قُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ عَلَيْهِ يَتَوَكَّلُ الْمُتَوَكِّلُونَ

‘‘বলোঃ তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ্ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদেরকে ডাকো, তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত প্রতিরোধ করতে পারবে? বলোঃ আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর নির্ভর করে’’। (সূরা যুমারঃ ৩৮)

ব্যাখ্যাঃ বিপদাপদ আপতিত হয়ে গেলে তা দূর করার জন্য এবং আগমণকারী বিপদাপদ আসার পূর্বেই প্রতিহত করার জন্য উপরোক্ত জিনিষগুলো ব্যবহার করা শির্ক। অর্থাৎ উপরোক্ত জিনিষগুলো পরিধান করার উদ্দেশ্য যদি তাই হয় এবং তার অন্তরে যদি এ বিষয়টি বদ্ধমূল হয় যে, ঐ বিষয়গুলো আপতিত বিপদাপদ দূর করবে এবং যে সমস্ত বিপদাপদ আসবে তাও প্রতিহত করবে, তাহলে সহীহ হাদীছের সুস্পষ্ট ঘোষণা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ শির্ক।[1]

উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে ইমাম মুকাতিল (রঃ) বলেনঃ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু তারা কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ থাকল। কেননা তারা তাদের বাতিল মাবুদের ব্যাপারে এ বিশ্বাস রাখতনা যে, তারা কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে।[2]

আমি বলছি, আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে তারা যেসব মাবুদদের আহবান করছে, আল্লাহ্ তাআলা যদি তার বান্দার কোনো ক্ষতি করতে চান, তাহলে ঐসব মাবুদ সে ক্ষতি দূর করার ক্ষমতা রাখেনা অথবা আল্লাহ্ তাআলা যে রহমত তাঁর বান্দার উপর নাযিল করেছেন, তা প্রতিহত করার ক্ষমতাও রাখেনা। সুতরাং তাদের উপর আবশ্যক যে, একমাত্র আল্লাহই হবেন তাদের মাবুদ। আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের অন্য কোনো মাবুদ থাকতেই পারেনা। যে ব্যক্তি ইবরাহীম (আঃ)এর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছিল, তাকেও আল্লাহ্ তাআলা একই প্রশ্ন করেছেন। আল্লাহ্ তাআলা সূরা হজ্জের ৩৭ নং আয়াতে বলেনঃ

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ أَنْ آَتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

‘‘তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তাঁর প্রভুর ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল এ কারণে যে, আল্লাহ্ সে ব্যক্তিকে রাজ্য দান করেছিলেন? ইবরাহীম যখন বললেন, আমার প্রতিপালক হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমিও জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইবরাহীম বললেন, নিশ্চয়ই তিনি সূর্যকে উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে। তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত করো। তখন সে কাফের হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ্ সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ প্রদর্শন করেন না’’।

আল্লাহ্ তাআলা এখানে দৃষ্টান্ত পেশ করে মুশরিকদের বিরুদ্ধে এমন দলীল-প্রমাণ কায়েম করেছেন, যা তাদের শির্ককে খন্ডন করে দেয় এবং এবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে অন্যান্য বস্ত্তকে সমান করে দেয়াকে বাতিল করে। এ ধরণের আয়াত কুরআনুল কারীমে অনেক রয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা সূরা হজ্জের ৩৭ নং আয়াতে বলেনঃ

يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُوا ذُبَاباً وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئاً لَّا يَسْتَنقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ

‘‘হে লোক সকল! একটি উপমা পেশ করা হল, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাদেরকে আহবান করো, তারা কখনো একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবেনা, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা মাছির কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবেনা। প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই অসহায়’’। আল্লাহ্ তাআলা সূরা আনকাবুতের ৪১ ও ৪২ নং আয়াতে বলেনঃ

مَثَلُ الَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ أَوْلِيَاءَ كَمَثَلِ الْعَنكَبُوتِ اتَّخَذَتْ بَيْتاً وَإِنَّ أَوْهَنَ الْبُيُوتِ لَبَيْتُ الْعَنكَبُوتِ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا يَدْعُونَ مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ

‘‘যারা আললাহ্র পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারী বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ ঐ মাকড়সা, যে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই সর্বাধিক দুর্বল। আফসোস! যদি তারা জানতো। তারা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যা কিছুকে ডাকে, আল্লাহ্ তা জানেন। তিনি মহা পরাক্রশালী, প্রজ্ঞাময়। এ সকল উদাহরণ আমি মানুষের জন্য দেই; কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বুঝে’’। আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেনঃ

وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ لاَ يَخْلُقُونَ شَيْئاً وَهُمْ يُخْلَقُونَ أَمْواتٌ غَيْرُ أَحْيَاء وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

‘‘যারা আল্লাহ্কে ছেড়ে অন্যদের ডাকে, ওরা তো কোনো কিছুই সৃষ্টি করেনা; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত, প্রাণহীন এবং কবে পুনরুত্থিত হবে, তাও তারা জানে না’’। (সূরা নাহলঃ ২০-২১)

হাফেয ইমাম ইবনে কাছীর (রঃ) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস হতে ইবনে আবী হাতিমের সূত্রে বর্ণিত একটি মারফু হাদীছ বর্ণনা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বলেনঃ তুমি আল্লাহর হকসমূহের হেফাযত করো। আল্লাহ্ও তোমাকে হেফাযত করবেন। তুমি আল্লাহর ফরয ও ওয়াজিব সমূহের হেফাযত করো, তাহলে তুমি আল্লাহ্কে তোমার সামনে পাবে। সুখ-শান্তির সময় আল্লাহ্কে স্মরণ করো, তাহলে দুঃখে ও বিপদাপদে আল্লাহ্কে কাছে পাবে। তুমি যখন কিছু চাইবে, তখন কেবল আল্লাহর কাছেই চাইবে। তুমি যখন সাহায্য চাইবে, তখন কেবল আল্লাহর কাছেই চাইবে। জেনে রাখো! দুনিয়ার সমস্ত লোকও যদি তোমার এমন কোনো ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়, যা আল্লাহ্ তাআলা তোমার ভাগ্যে লিখেন নি, তাহলেও তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। আর তারা সকলে মিলে যদি তোমার এমন কোনো উপকার করতে চায়, যা তোমার ভাগ্যে আল্লাহ্ তাআলা লিখে দেননি, তাহলেও তারা তোমার উপকার করতে পারবেনা। সবকিছু লিখার পর কলমের কালি শুকিয়ে গেছে এবং কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল করো এবং ঈমান ও ইয়াকীনকে সম্পদ মনে করে এর শুকরিয়া আদায় করো। জেনে রাখো! অপছন্দনীয় বস্ত্তর উপর শুকরিয়া আদায় করার মধ্যে রয়েছে অপরিমীত কল্যাণ। সবরের সাথেই আল্লাহর সাহায্য আগমণ করে। দুঃখ-কষ্টের পরই আগমণ করে শান্তি এবং কঠিনতার পরই আগমণ করে সহজতা।[3]

সাহাবী ইমরান বিন হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,

«أن النبي صلى الله صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً فِى يَدِهِ حَلْقَةٌ مِنْ صُفْرٍ فَقَالَ مَا هَذِهِ الْحَلْقَةُ قَالَ هَذِهِ مِنَ الْوَاهِنَةِ قَالَ انْزِعْهَا فَإِنَّهَا لاَ تَزِيدُكَ إِلاَّ وَهْنًا»

‘‘নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে পিতলের একটি বালা দেখলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কী? লোকটি বলল, এটা দুর্বলতা দূর করার জন্য পরিধান করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ এটা খুলে ফেল। কারণ এটা তোমার দুর্বলতাকে আরো বৃদ্ধি করবে। আর এটা তোমার সাথে থাকা অবস্থায় যদি তোমার মৃত্যু হয়, তাহলে তুমি কখনো সফলকাম হতে পারবেনা’’।[4]

ব্যাখ্যাঃ ইমারন বিন হুসাইন ইবনে উবাইদ বিন খালাফ আল-খুযাঈ ছিলেন সাহাবী। তাঁর পিতাও সাহাবী ছিলেন। খায়বার যুদ্ধের বছর তিনি ইসলাম কবুল করেন। ৫২ হিজরী সালে তিনি বসরায় ইন্তেকাল করেন।

হাকেমের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ইমরান বিন হুসাইন বলেনঃ আমি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গেলাম। তখন আমার হাতে ছিল পিতলের একটি বালা। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, উপরোক্ত হাদীছে যার নাম উল্লেখ করা হয়নি, তিনিই ছিলেন ইমরান বিন হুসাইন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেনঃ এটা কী? এই প্রশ্ন থেকেই বুঝা যাচ্ছে, তিনি এটিকে অপছন্দ করেছেন এবং তা পরিধান করার প্রতিবাদ করেছেন।

হাদীছে বর্ণিত الواهنة ( দূর্বলতা)এর ব্যাখ্যায় একাধিক উক্তি রয়েছে। আবুস সাআদাত বলেনঃ এটি একটি রোগের নাম, যা ঘাড়ে এবং হাতের সকল স্থানেই পরিলক্ষিত হয়। এতে ঝাড়-ফুঁক করা হয়ে থাকে। কেউ কেউ বলেনঃ এটি এমন একটি রোগের নাম, যা বাহুতে পরিলক্ষিত হয়। এতে শুধু পুরুষেরাই আক্রান্ত হয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোগ-ব্যাধি ও বিপদাপদ দূর করার জন্য বালা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। কারণ এতে এই ধারণা হতে পারে যে, এটিই রোগ থেকে মুক্তি দিবে অথবা রোগ প্রতিহত করবে। এ জন্যই তিনি এটি নিক্ষেপ করার আদেশ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এটি অসুস্থতা আরো বাড়িয়ে দিবে। মুশরিকদেরকে আল্লাহ্ তাআলা তাদের আশার বিপরীত ফল দিয়ে থাকেন। কেননা সে তার অন্তরকে এমন জিনিষের সাথে সংযুক্ত করেছে, যা তার কোনো লাভ অথবা ক্ষতির মালিক নয়। সাধারণ একটি বালা পরিধান করলে যদি অবস্থা এমন হয়, তাহলে এর চেয়ে বড় অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে অবস্থা কেমন হবে? যেমন কবর, মাজার, তাগুত এবং এ ধরণের অন্যান্য বস্ত্তর পূজারীদের অবস্থা কেমন হবে- তা সহজেই অনুমেয়। যার সামান্য পরিমাণ বিবেক রয়েছে, তার কাছেও শির্কের ভয়াবহতার বিষয়টি মোটেও গোপন নয়।

গ্রন্থকার বলেনঃ এতে সাহাবীদের ঐ কথার দলীল পাওয়া যায় যে, শির্কে আসগার কবীরাহ গুনাহ্ সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি সর্ববৃহৎ গুনাহ্। আর অজ্ঞতার কারণে শির্কে লিপ্ত হলেও শির্কে লিপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হবেনা।[5] কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আর এটা তোমার সাথে থাকা অবস্থায় যদি তোমার মৃত্যু হয়, তবে তুমি কখনো সফলকাম হতে পারবেনা।

[1] - এ বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা হচ্ছে, কেউ যদি আল্লাহর উপর থেকে বিশ্বাস ও আস্থা উঠিয়ে নিয়ে অন্যসব বস্ত্তর উপর এমন ভরসা স্থাপন করে যে, এগুলোই আরোগ্য দানের জন্য যথেষ্ট, তবে তা হবে বড় শির্ক। পক্ষান্তরে যদি এই বিশ্বাস পোষণ করা হয় যে, এগুলো মাধ্যম মাত্র, মূল আরোগ্য দাতা মহান আল্লাহ, তবে তা হবে ছোট শির্ক।

[2] - মুকাতিল আয়াতে কারীমা থেকে ইহা বুঝেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এ রকম কোন মারফু হাদীছ নেই।

[3] - মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজী ও তাবরানী এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ যিলালুল জান্নাত, হাদীছ নং- ৩১৫।

[4] - মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ। ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে যঈফা, হাদীছ নং- ২১৯৫।

[5] - লেখকের এই কথাটি সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য নয়। তাই অজ্ঞতার কারণে কোন মুমিন যদি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র বিপরীত কোন কর্মে লিপ্ত হয়, সে ক্ষমা পাবে কি না, সামনের টিকায় এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা আসছে ইনশা-আল্লাহ।