এ অধ্যায় থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১) আল্লাহ্ তাআলার অসীম করুণা।
২) আল্লাহর নিকট তাওহীদের অপরিসীম ছাওয়াব।
৩) অপরিসীম ছাওয়াব দেয়ার সাথে সাথে তাওহীদ দ্বারা পাপসমূহও মোচন হয়ে যায়।
৪) সূরা আনআমের ৮২ নং আয়াতের তাফসীর জানা গেল। অর্থাৎ সেখানে যে যুলুমের বর্ণনা এসেছে, তা দ্বারা সাধারণ যুলুম উদ্দেশ্য নয়; বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে শির্ক।
৫) উবাদা বিন সামেতের হাদীছে বর্ণিত পাঁচটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেয়া জরুরী।
৬) উবাদা বিন সামেত এবং ইতবানের হাদীছকে একত্র করলে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং ধোঁকায় নিপতিত লোকদের ভুল সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়বে।[22]
৭) ইতবান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছে উল্লেখিত শর্তের ব্যাপারে সতর্কীকরণ। অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কালেমাটি পাঠ করবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এটি পাঠ করবে, সে অবশ্যই আমল করবে এবং তা কেবল আল্লাহর জন্যই করবে।
৮) ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ফযীলতের ব্যাপারে নবীগণকেও সতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৯) সমগ্র সৃষ্টির তুলনায় এ কালেমার পাল্লা ভারী হওয়ার ব্যাপারে অবগতকরণ। যদিও ইখলাসের সাথে পাঠ না করার কারণে এ কালেমার অনেক পাঠকের পাল্লা হালকা হয়ে যাবে।
১০) সপ্তাকাশের মত সপ্ত যমীন বিদ্যমান থাকার প্রমাণ পাওয়া গেল।
১১) যমীনের মত আকাশেও বসবাসকারী রয়েছে।
১২) আল্লাহর সিফাতসমূহকে সাব্যস্ত করা জরুরী। আশআরী সম্প্রদায়ের লোকেরা এগুলোকে অস্বীকার বা এগুলোর অপব্যাখ্যা করে থাকে।
১৩) আপনি যখন সাহাবী আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসটি বুঝতে সক্ষম হবেন তখন জানতে পারবেন যে, ইতবান রাযিয়াল্লাহু আনহুর হাদীছে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ
فَإِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَبْتَغِى بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ
‘‘আল্লাহ তাআলা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে’। এর মর্মার্থ হচ্ছে শির্ক বর্জন করা। শুধু মুখে বলা এর উদ্দেশ্য নয়।
১৪) আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উভয়ই আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল হওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করা।
১৫) কালিমাতুল্লাহ বলে ঈসা (আঃ) কে খাস করার বিষয়টি জানা গেল। এ দ্বারা বিশেষ মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
১৬) ঈসা (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে রূহ হওয়া সম্পর্কে অবগত হওয়া গেল।
১৭) জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি ঈমান আনার মর্যাদা।
১৮) তাওহীদপন্থী লোকেরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমল যাই হোক না কেন।
১৯) এ কথা জানা গেল যে, কিয়ামতের দিন দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করা হবে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লাও থাকবে।
২০) আরও জানা গেল যে, আল্লাহর অনেক সিফাত রয়েছে। তার মধ্যে আল্লাহর চেহারা তার অন্যতম একটি সিফাত।