মহানবী (ﷺ) এর উপর যে ব্যক্তি ১ বার দরূদ পাঠ করে, বিনিময়ে আল্লাহ তার উপর ১০বার রহমত বর্ষণ করে থাকেন। (মুঃ ১/২৮৮)।
রসুল (ﷺ)-এর নাম যার কানে পৌঁছে অথচ দরূদ পাঠ করে না, সেই হল আসল বখীল। (সঃ তিরমিযী ৩/ ১৭৭) সুতরাং তার নাম শোনা বাবলা মাত্র পড়তে হয়,
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম)। অথবাعَلَيْهِ الصَّلاةُ وَالسَّلام (আলাইহিস স্বালা-তু অসসালাম।) অর্থাৎ, আল্লাহ তার উপর করুণা ও শান্তি বর্ষণ করুন। মহানবী (ﷺ) এর উপর দরূদ পাঠের আরো ফযীলত এই যে, তার ফলে পাঠকারীর দুশ্চিন্তা দুর হবে, গোনাহ মাফ হবে, মহানবী (ﷺ) তার জবাব দেবেন, কিয়ামতের দিন কোন আফসােস হবে না, দুআ কবুল হবে, ইত্যাদি। দরূদ পাঠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি মহব্বতের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। (জালাউল আফহাম ইবনুল কাইয়েম ৩৫৯-৩৭০ দ্রষ্টব্য)
দরূদ পাঠের স্থান হল, নামাযের তাশাহহুদে, কুনুতের শেষে, জানাযার নামাযে, খুতবায়, আযানের জওয়াব দেওয়ার পর, দুআর সময়, মসজিদে প্রবেশ করতে ও সেখান হতে বের হতে, ইমী মজলিসে, জুমআর দিনে ইত্যাদি। প্রকাশ থাকে যে, জামাআতী দরূদ বা কিয়াম করে দরূদ এবং মনগড়া রচিত দরূদ পাঠ করা বিদআত।