মুআযযিন যা বলবে তা শুনে তার উত্তরেও তাই বলতে হয়। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ দ্বিতীয়বার বলে শেষ করলে তার উত্তরে নিম্নের দুআ বলা উত্তম।
وأنا أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمداً عبده ورسوله، رضيت بالله ربا وبمحمد رسولا وبالإسلام دينا
উচ্চারণঃ অ আনা আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, অ আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অ রাসূলুহ, রাযীতু বিল্লা-হি রাব্বীউ অ বিমুহাম্মাদির রাসূলাঁউ অবিলইসলামি দ্বীনা।
অর্থঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর দাস ও প্রেরিত রসুল। আল্লাহকে প্রতিপালক। বলে মেনে নিতে, মুহাম্মাদ মুক্তি কে নবীরূপে স্বীকার করতে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করতে আমি সম্মত ও তুষ্ট হয়েছি।
এই দুআ পড়লে গোনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। (মুঃ ১/২৯০, ইবনে খুযাইমাহ ১/২২০)।
মুআযযিন যখন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলে, তখন তার উত্তরে বলতে হয়, (لا حولَ ولا قوةَ إلا باللهِ) উচ্চারণ- লা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ- আল্লাহর তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার (নড়া-সার) সাধ্য নেই। (কুঃ ১৮/১৫২, মু ১/২৮৮)
আসস্বালা-তু খাইরুম মিনান নাউম’ এর উত্তরে অনুরূপই বলতে হয়। আযান শেষ হলে নবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করতে হয়। (মুঃ ১/২৮৮) অতঃপর এই দুআ পাঠ করতে হয়,
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاةِ الْقَائِمَةِ ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ ، وَابْعَثْهُ الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ الَّذِي وَعَدْتَهُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-যিহিদ দা’অতিত তা-ম্মাহ, অসসালা-তিল ক্বা-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা অলফাযীলাহ, অবআসহু মাক্বা-মাম মাহমুদানিল্লাযী অআত্তাহ।
অর্থ- হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠা লাভকারী নামাযের প্রভু! মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে তুমি অসীলা (জান্নাতের এক উচ্চ স্থান) ও মর্যাদা দান কর এবং তাকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছ।
এই দুআ পাঠ করলে পাঠকারী কিয়ামতের দিন তার সুপারিশ পাবে। (বুঃ ১/১৫২) এর মাঝে বা শেষে অতিরিক্ত কোন দুআর অংশ শুদ্ধ নয়। তাই এর উপর কোন প্রকার অতিরিক্ত করা উচিত নয়। (ইঃ গলীল ১/২৬১)।
আযান ও ইকামতের মাঝে দুআ কবুল হয়। তাই নিজের জন্য কিছু কল্যাণকর দুআ করা এ সময়ে দূষণীয় নয়। (ইঃ গলীল ১২৬২)।
ইকামতের জওয়াব আযানের মতই। ক্বদ ক্বা-মাতিস্ব স্বালা-হ’ এর উত্তরে আকামাহাল্লাহ----’ বলার বিষয়ে হাদীসটি যয়ীফ। তাই অনুরূপ (ক্বাদ কামাতিস্ব স্বালাহ) বলাই উচিত। (ইঃ গঃ ১/২৫৮)