সালামের হকদার হল মুসলিমগণ। অমুসলিম সালামের হকদার নয়। কোন অমুসলিম সালাম দিলে তার উত্তরে কেবল 'অআলাইকুম' বলতে পারি। (মুঃ ৪/১৭০৫) একই দলে মুসলিম ও অমুসলিম থাকলে মুসলিমদেরকে উদ্দেশ্য করে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম দেওয়া যায়। (কুঃ ৭/১৩২, মুঃ ৩/ ১৪২২) আবার কোন অমুসলিম যদি স্পষ্ট করেই ‘আসসালামু আলাইকুম” বলে সালাম দেয়, তবে। তার জওয়াবে ‘অ আলাইকুমুস সালা-ম’ বলা দুষণীয় নয়। (ফতওয়া ইবনে উসাইমীন) সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে সাক্ষাতে প্রথমে সালাম দিতে চেষ্টা করে। (মিশকাত ৪৬৪৬নং)

তবুও আরোহী পদাতিককে, পদাতিক উপবিষ্টকে, অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে এবং ছোট বড়কে প্রথমে সালাম দিতে চেষ্টা করাই সুন্নত। (বুঃ মুঃ মিশকাত ৪৬৩২-৪৬৩৩ন)।

জামাআতের তরফ থেকে একজন মাত্র লোক সালাম বা তার উত্তর দিলেই যথেষ্ট। (আঃ দাঃ, মিশকাত ৪৬৪৮নং) শিশু হলেও তাকে সালাম দেওয়া সুন্নত। (মিশকাত ৪৬৩৪নং) সাক্ষাৎ হলে যেমন সালাম দেবে তেমনি পৃথক বা বিদায় হলেও সালাম দেবে। তবে মুসাফাহা সাক্ষাতের সময় সুন্নত এবং বিদায়ের সময় মুস্তাহাব। (সিঃ সহীহাহ ১/১/৫৩পৃঃ) যেমন পৃথক হওয়ার পূর্বে সূরা আসর পড়া উত্তম। (তাবারানীর আউসাত্ব সিঃসঃ ২৬৪৮নং) সালামের সময় কোন প্রকার ঝুঁকা বৈধ নয়।