সালামের উত্তর দেওয়ার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে হিসাবগ্রহণকারী। (কুঃ ৪/৮৬)
সুতরাং সালামদাতা যে মেজাজ, কণ্ঠস্বর ও বাক্যে সালাম দেবে তার চেয়ে উত্তম মেজাজ, কণ্ঠস্বর ও অধিক শব্দ দ্বারা সালামের উত্তর দেওয়া কর্তব্য। নচেৎ অনুরূপ জওয়াব দেওয়া ওয়াজেব। সালাম অপেক্ষা তার উত্তর যেন নিকৃষ্টতর না হয়, নচেৎ সম্প্রীতির স্থানে বিদ্বেষ জন্ম নেবে। অতএব উত্তর হবে,
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاه
(অ আলাইকুমুস সালা-মু অরাহমাতুল্লা-হি অবারাকাতুহ)। অর্থাৎ, আর আপনার উপরেও শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তার বর্কত বর্ষণ হোক।
কেউ পরোক্ষভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পাঠালে যে সালাম পৌছাবে তাকে সহ সালামদাতাকে এই উত্তর দেবে,
وعليك وعليه السلام
(অ আলাইকা অ আলাইহিস সালাম)। অর্থাৎ, আর আপনার ও তার উপরেও শান্তি বর্ষণ হোক। (সঃ অঃ দাঃ ৪৩৫৮নং)।
কেবলমাত্র ইশারা ও ইঙ্গিতে সালাম বা তার উত্তর দেওয়া বৈধ নয়। (সঃ তিঃ ২১৬৮নং, সিঃ সঃ২ ১৯৪নং) দুর থেকে সালাম দিলেও হাতের ইশারার সাথে মুখে সালাম উচ্চারণ করতে হবে। অবশ্য নামাযে রত থাকলে কেবল হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দেওয়া বিধেয়। (তিঃ, মিশকাত ৯৯১নং)