উত্তরঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ
‘‘তোমাদের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট শরীয়ত ও নির্দিষ্ট পন্থা নির্ধারণ করেছি। আর আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন, তবে অবশ্যই তোমাদের সকলকে একই উম্মত করে দিতেন; কিন্তু তিনি এরূপ করেন নি। যাতে তোমাদেরকে যে বিষয় প্রদান করেছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। সুতরাং তোমরা কল্যাণসমূহের দিকে দ্রুত অগ্রসর হও। (সূরা মায়িদাঃ ৪৮) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) (شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا) এর ব্যাখ্যায় বলেনঃ এখানে শরীয়ত ও পন্থা বলতে সুন্নাত ও জীবন চলার পথ উদ্দেশ্য। মুজাহিদ, ইকরিমা, হাসান বসরী, কাতাদা, যাহ্হাক, সুদ্দী এবং আবু ইসহাক সুবাই-ঈ থেকেও অনুরূপ কথা বর্ণিত আছে।[1] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
وَالْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ لِعَلَّاتٍ أُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ
‘‘নবীগণ পরস্পর বৈমাত্রেয় ভাই। তাদের মাতা বিভিন্ন; কিন্তু দ্বীন একটিই।[2] এখানে দ্বীন বলতে তাওহীদ উদ্দেশ্য, যা দিয়ে আল্লাহ তা’আলা সকল রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং প্রত্যেক আসমানী কিতাবের মূল বিষয় হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।
তবে শরীয়তের ব্যাপারে কথা হল, প্রত্যেক শরীয়তের আদেশ-নিষেধ এবং হালাল-হারাম ছিল ভিন্ন ভিন্ন । আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا
‘‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক দিয়ে সর্বোত্তম’’। (সূরা মুলকঃ ২)
[2] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আম্বীয়া।