উত্তরঃ হ্যাঁ, তাওহীদের সকল প্রকারই একটি অন্যটির জন্য আবশ্যক। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন একটিতে শরীক করবে, সে অবশিষ্ট প্রকারগুলোতেও মুশরিক হিসাবে গণ্য হবে। তার উদাহরণ হল, আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের কাছে দু’আ করা এবং অন্যের কাছে এমন কিছু প্রার্থনা করা, যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউ দিতে পারে না। মনে রাখা দরকার যে, দু’আ শুধু এবাদতই নয়; বরং এবাদতের মূল। আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো কাছে দু’আ করা তাওহীদের উলুহিয়্যাহ তথা এবাদতের মধ্যে শির্ক। আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউ প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারে, এ বিশ্বাস রেখে কারো কাছে কোন কল্যাণ প্রার্থনা করা বা অকল্যাণ দূর করার আবেদন করা তাওহীদে রুবুবিয়াতে শির্ক করার অন্তর্ভূক্ত। কেননা এ বিশ্বাসের মাধ্যমে সে আল্লাহর রাজত্বে অন্য কাউকে কর্তৃত্ব করার অধিকার প্রদান করল। সে এই বিশ্বাসের কারণেই আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের কাছে দু’আ করে যে, সে যার কাছে দুআ করছে, সে দূরে, নিকটে, সকল সময়ে, সকল স্থানেই তার দু’আ শুনছে। আর এটিই হচ্ছে তাওহীদুল আসমা ওয়াস্ সিফাতের ক্ষেত্রে শির্ক। কেননা সে আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্যের জন্যে এমন শ্রবণশক্তি নির্ধারণ করল, যা সকল বস্ত্তকে বেষ্টন করে আছে। দূরত্ব বা নিকটত্ব তার শ্রবণকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে না। সুতরাং আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নিকট দু’আ করাতে তাওহীদে উলুহিয়্যায় শির্ক, তাওহীদে রুবুবিয়ায় শির্ক এবং তাওহীদুল আসমা ওয়াস্ সিফাতেও শির্ক তথা তাওহীদের সকল প্রকারেই শির্ক হয়ে গেল।