প্রশ্নঃ (৫৯) পূর্বে আলোচিত হয়েছে যে, আল্লাহর সিফাতসমূহ দুই প্রকার। সিফাতে যাতিয়া বা সত্বাগত গুণ ও সিফাতে ফে’লীয়া বা কর্মগত গুণ। কুরআন মজীদ থেকে সিফাতে যাতিয়ার কতিপয় উদাহরণ দিন?

উত্তরঃ কুরআন মজীদ থেকে নিম্নে কতিপয় সিফাতে যাতিয়ার দৃষ্টান্ত পেশ করা হলঃ

وَقَالَتْ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ يُنفِقُ كَيْفَ يَشَاءُ

‘‘আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক! এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত; বরং তাঁর উভয় হস্ত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’’ (সূরা মায়িদাঃ ৬৪) আল্লাহ তাআ’লা আরও বলেনঃ

كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

‘‘ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব পালনকর্তার চেহারা ব্যতীত’’। (সূরা আর্ রাহমানঃ ২৬-২৭) আল্লাহ তা’আলা মূসা (আঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ

وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي

‘‘আমি আমার নিকট হতে আপনার উপর ভালবাসা ঢেলে দিলাম, যাতে আপনি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হন’’। (সূরা তোহাঃ ৩৯) আল্লাহ তাআ’লা আরও বলেনঃ


أَبْصِرْ بِهِ وَأَسْمِعْ

‘‘তিনি কতই না সুন্দর দেখেন ও শুনেন’’। (সূরা কাহফঃ ২৬) আল্লাহ তা’লা মূসা ও তাঁর ভাই হারূন (আঃ)কে লক্ষ্য করে বলেনঃ

قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى

আল্লাহ বললেনঃ তোমরা ভয় কর না, আমি তোমাদের সাথে আছি। আমি শুনি ও দেখি। (সূরা তোহাঃ ৪৬)

আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِهِ عِلْمًا

‘‘তাদের সম্মুখের ও পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন। তারা জ্ঞান দ্বারা তাঁকে পরিবেষ্টিত করতে পারে না’’। (সূরা তোহাঃ ১১০) আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেনঃ

وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا

‘‘আর আল্লাহ তা’আলা মুসার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন’’। (সূরা নিসাঃ ১৬৪)

وَإِذْ نَادَى رَبُّكَ مُوسَى أَنْ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

‘‘স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা, যখন আপনার প্রভু মুসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি যালিম সম্প্রদায়ের নিকট যাও’’। (সূরা শুআরাঃ ১০) আল্লাহ্ তা’আলা আদম ও হাওয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ

وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ

‘‘তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সম্বোধন করে বললেনঃ আমি কি এ বৃক্ষ সম্পর্কে তোমাদেরকে নিষেধ করি নি?’’। (সূরা আ’রাফঃ ২২) আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ

وَيَوْمَ يُنَادِيهِمْ فَيَقُولُ مَاذَا أَجَبْتُمْ الْمُرْسَلِينَ

‘‘আর সে দিন আল্লাহ্ তাদেরকে ডেকে বলবেনঃ তোমরা রাসূলদেরকে কি জবাব দিয়েছিলে?’’। (সূরা কাসাসঃ ৬৫) এ ছাড়াও আরো উদাহরণ রয়েছে।