আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ تُوْرِدُوْا الْـمُمْرِضَ عَلَى الْـمُصِحِّ
‘‘তোমরা কোন রুগ্ন ব্যক্তিকে (বিনা প্রয়োজনে) কোন সুস্থ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যেও না’’।[1]
এ কথা নিশ্চিত যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে সংক্রামক রোগ বলতে কিছুই নেই। তবে কোন ব্যক্তির ঈমান নিতান্ত দুর্বল হওয়ার দরুন তার নিকট কোন অসুস্থ ব্যক্তি আসার পর সে যে কোনভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়লে সে এ কথা স্বভাবতই মনে করতে পারে যে, উক্ত অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখার দরুনই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ; অথচ তার অসুস্থতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার ইচ্ছায়ই হয়েছে। উক্ত অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখার দরুন নয়। তাই উক্ত ভুল চেতনা থেকে যে কোন দুর্বল মু’মিন-মুসলমানকে রক্ষা করার জন্য কোন রুগ্ন ব্যক্তি যেন কোন সুস্থ ব্যক্তির নিকট বিনা প্রয়োজনে না যায়।
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ نَوْءَ وَلاَ غُوْلَ ، فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! فَمَا بَالُ الْإِبِلِ تَكُوْنُ فِيْ الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ ، فَيَجِيْءُ الْبَعِيْرُ الْأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ فِيْهَا ، فَيُجْرِبُهَا كُلَّهَا ، قَالَ: فَمَنْ أَعْدَى الْأَوَّلَ؟
‘‘ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছুই নেই। কুলক্ষণ বলতেই তা একান্ত অমূলক। হুতোম পেঁচা, সফর মাস, রাশি-নক্ষত্র অথবা পথ ভুলানো ভূত কারোর কোন ক্ষতি করতে পারে না। তখন এক গ্রাম্য ব্যক্তি বললো: হে আল্লাহ্’র রাসূল! কখনো এমন হয় যে, মরুভূমির মধ্যে শায়িত কিছু উট। দেখতে যেমন হরিণ। অতঃপর দেখা যাচ্ছে, চর্ম রোগী একটি উট এসে এগুলোর সাথে মিশে গেলো। তাতে করে সবগুলো উট চর্ম রোগী হয়ে গেলো। তখন রাসূল (সা.) বললেন: বলো তো: প্রথমটির চর্ম রোগ কোথা থেকে এসেছে’’?[2]
[2] (বুখারী, হাদীস ৫৭০৭, ৫৭১৭, ৫৭৭০, ৫৭৭৩ মুসলিম, হাদীস ২২২০, ২২২২ আবু দাউদ, হাদীস ৩৯১১, ৩৯১২, ৩৯১৩, ৩৯১৫ ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩৬০৫, ৩৬০৬ আহ্মাদ : ২/২৬৭, ৩৯৭ আব্দুর রায্যাক : ১০/৪০৪ ত্বাহাওয়ী/মুশ্কিলুল্ আসা-র, হাদীস ২৮৯১)