আব্দুর রহমান বিন্ সামুরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন:
يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ! لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ ، فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيْتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ أُكِلْتَ إِلَيْهَا ، وَإِنْ أُعْطِيْتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا
‘‘হে আব্দুর রহমান বিন্ সামুরাহ্! তুমি কারোর নিকট নিজের জন্য প্রশাসনিক কোন পদ চাবে না। কারণ, তা যদি তোমাকে একান্ত তোমার চাওয়ার ভিত্তিতেই দেয়া হয় তা হলে তার গুরুভার একমাত্র তোমার উপরই সোপর্দ করা হবে। তাতে আল্লাহ্ তা’আলার কোন সহযোগিতাই থাকবে না। আর যদি তা তোমাকে তোমার চাওয়া ছাড়াই এমনিতেই দেয়া হয় তা হলে তাতে আল্লাহ্ তা’আলার সহযোগিতা অবশ্যই থাকবে’’।[1]
আবু বুর্দাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আবু মূসা আশ্’আরী (রা.) আমাকে বললেন: আমি একদা আমার বংশীয় দু’জন ব্যক্তিকে নিয়ে রাসূল (সা.) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তাদের এক জন ছিলো আমার ডান পার্শ্বে আর অন্য জন ছিলো আমার বাম পার্শ্বে। তারা উভয় জনই রাসূল (সা.) এর নিকট কোন প্রশাসনিক পদ চেয়েছিলো। নবী (সা.) তখন মিসওয়াক করছিলেন। তিনি বললেন: হে আবু মূসা! অথবা হে আব্দুল্লাহ্ বিন্ কবাইস্! তুমি কি বলো? আমি বললাম: সেই সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে পাঠিয়েছেন। তারা ইতিপূর্বে তো তাদের মনের কথা আমাকে বলেনি। আর আমিও ইতিপূর্বে অনুভব করতে পারিনি যে, তারা আপনার নিকট কোন প্রশাসনিক পদ চাবে। নবী (সা.) বললেন: তখন আমি তাঁর মিসওয়াকের দিকেই তাকিয়েছিলাম যা তাঁর ঠোঁটের নিচেই ছিলো এবং ঠোঁট খানা একটু উপরে উঠেছিলো। তিনি বললেন:
لَنْ أَوْ لاَ نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ ، وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوْسَى! أَوْ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ!
‘‘আমি কখনো এমন লোককে কোন পদ দেবো না যে তা পাওয়ার আশা করে। বরং তুমি যাও হে আবু মূসা! অথবা হে আব্দুল্লাহ্ বিন্ ক্বাইস’’&! অতঃপর তিনি আবু মূসা (রা.) কে কোন দায়িত্ব দিয়ে ইয়েমেনে পাঠিয়ে দিলেন।[2]
>[2] (মুসলিম, হাদীস ১৭৩৩)