আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
فَلَا تُزَكُّوا أَنفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَىٰ
‘‘তোমরা নিজেদের পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতা বর্ণনা করো না। কারণ, একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই (নিশ্চিত) জানেন সত্যিকার মুত্তাকী কে’’? (নাজম : ৩২)
তাই তো ইউসুফ (আঃ) তাঁর নিজ সম্পর্কে বলেন। যা আল্লাহ্ তা’আলা কুর’আন মাজীদে উলেলখ করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي ۚ إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي ۚ إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ
‘‘আমি নিজকে পবিত্র ও নির্দোষ বলছি না। কারণ, মানব প্রবৃত্তি তো নিশ্চয়ই মন্দ প্রবণ। কিন্তু সে নয় যাকে আমার প্রভু দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু’’। (ইউসুফ : ৫৩)
মুহাম্মাদ বিন্ ’আমর বিন্ আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি খুব আদর করে আমার একটি মেয়ের নাম ’’বার্রাহ্’’ তথা নেককার বা কল্যাণময়ী রেখেছিলাম। একদা যায়নাব বিনতে আবু সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা) উক্ত নাম শুনে বললেন: রাসূল (সা.) এ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। কোন এক সময় আমারও এই নাম ছিলো। তখন রাসূল (সা.) উক্ত নাম শুনে বললেন:
لاَ تُزَكُّوْا أَنْفُسَكُمْ ، اللهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ ، فَقَالُوْا : بِمَ نُسَمِّيْهَا ؟ قَالَ: سَمُّوْهَا زَيْنَبَ
‘‘তোমরা কখনো নিজের সাধুতা ও পবিত্রতা বর্ণনা করো না। কারণ, একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই (নিশ্চিত) জানেন সত্যিকার নেককার বা কল্যাণময়ী কে ? তখন সাহাবায়ে কিরাম বললেন: তা হলে আমরা ওর নাম কি রাখবো ? তখন রাসূল (সা.) বললেন: তোমরা ওর নাম যায়নাব রাখো’’।[1]
তবে একান্ত কোন শরয়ী কল্যাণ বিনষ্ট হওয়ার প্রবল ধারণা হলে নিতান্ত প্রয়োজনে নিজের সাধুতা ও স্বচ্ছতা বর্ণনা করা যেতে পারে। যেমনিভাবে ইউসুফ (আঃ) মিশরের তৎকালীন অধিপতির নিকট নিজের জ্ঞান ও আমানতদারিতার বর্ণনা অকপটে তুলে ধরেন। তিনি বলেন। যা আল্লাহ্ তা’আলা কুর’আন মাজীদে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
قَالَ اجْعَلْنِيْ عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ ، إِنِّيْ حَفِيْظٌ عَلِيْمٌ
‘‘সে (ইউসুফ) বললোঃ আমাকে কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত করুন। নিশ্চয়ই আমি ভালো সংরক্ষণকারী অতিশয় জ্ঞানবান’’। (ইউসুফ : ৫৫)
>