উসামাহ্ বিন্ যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
إِذَا سَمِعْتُمْ بِالطَّاعُوْنِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوْهَا ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوْا مِنْهَا
‘‘যখন তোমরা কোন এলাকায় মহামারীর কথা শুনবে তখন সেখানে আর প্রবেশ করবে না। আর যদি তোমরা নিজেই মহামারীর এলাকায় অবস্থান করে থাকো তা হলে সেখান থেকে আর বের হবে না’’।[1]
মহামারীর এলাকায় ধৈর্য ও সাওয়াবের আশায় অবস্থান করলে একজন শহীদের সাওয়াব পাওয়া যায়।
’আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল (সা.) কে মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন:
إِنَّهُ عَذَابٌ يَبْعَثُهُ اللهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ ، وَأَنَّ اللهَ جَعَلَهُ رَحْمَةً لِلْمُؤْمِنِيْنَ ، لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ يَقَعُ الطَّاعُوْنُ فَيَمْكُثُ فِيْ بَلَدِهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ يُصِيْبُهُ إِلاَّ مَا كَتَبَ اللهُ لَهُ إِلاَّ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ شَهِيْدٍ
‘‘মহামারী হচ্ছে এক ধরনের আযাব যা আল্লাহ্ তা’আলা যাদের নিকট চান পাঠিয়ে থাকেন। আর তা মু’মিনদের জন্য হবে রহমত স্বরূপ। কোন এলাকায় মহামারী দেখা দিলে কেউ যদি সেখানে ধৈর্য ধরে সাওয়াবের আশায় অবস্থান করে এ কথাটুকু মনে করে যে, যা আল্লাহ্ তা’আলা তার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তাই ঘটবে তা হলে সে একজন শহীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে’’।[2]
[2] (বুখারী, হাদীস ৩৪৭৪, ৫৭৩৪, ৬৬১৯)