বাইবেলে ব্যভিচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। (লেবীয়: ২০/১০-১৭) এমনকি পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাতকেও ঈসা মাসীহ ব্যভিচার বলে গণ্য করেছেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে তার চোখ তুলে ফেলে দিতে বলেছেন। তিনি বলেন: “যে কেহ কোনো স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল। আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায় তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলিয়া দেও; কেননা সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।” (মথি ৫/২৮-২৯)
যদি খৃস্টান বিশ্ব তাওহীদ ও শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করতো, শির্ক-ব্যভিচারের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতো তাহলে মানব সভ্যতা বর্তমানের ভয়ঙ্কর অবক্ষয়ের মধ্যে পড়তো না।
যদি কেউ আপনাকে বলে যে, কুরআন তাওরাত-ইঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দিয়েছে, আপনি তাকে বলুন: হ্যা, কুরআন ইয়াহূদী-খৃস্টানদেরকে তাওরাত-ইঞ্জিল এবং কুরআনের বিধিবিধান প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে। “ঈসা মাসীহ পাপ বহন করবেন” বলে ধোঁকা দিয়ে শির্ক ও ব্যভিচার প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দেয় নি। আপনাদের দেশগুলিতে যদি না-ও পারেন তবে অন্তত চার্চগুলিতে তাওরাত-ইঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করুন। খৃস্টান চার্চগুলিতে পাদরিগণ যত ব্যভিচার ও ধর্ষণ করেন তা বিশ্বের আর কোনো ধর্মের ধর্মালয়ে ঘটে না। (ইন্টারনেটে দেখুন: Catholic sex abuse cases)। এ সকল পাদরিকে তাওরাত নির্দেশিত শাস্তি প্রদান করুন। সকল খৃস্টান চার্চে ঈসা মাসীহ, তাঁর মাতা মরিয়ম ও অন্যান্য অগণিত মানুষের প্রতিমা বিদ্যমান। এগুলি ধ্বংস করুন, যারা এগুলি বানিয়েছে বা এগুলিতে ভক্তি মানত-উৎসর্গ করতে উৎসাহ দিয়েছে তাদের সকলকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করুন। এরপর আমাদের কাছে তাওরাত-ইঞ্জিল নিয়ে আসুন।