জওয়াব: প্রথমত: নিজ স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো ভাবে বীর্যপাত করা হারাম। আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٥ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٦ فَمَنِ ٱبۡتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡعَادُونَ ٧﴾ [المؤمنون: ٥، ٧]
“(মুমিন তারা) যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত। এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। এদের ছাড়া অন্য কিছু কামনা করলে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী হবে।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৫-৭]
আর এ ধরনের কাজে শরীরেরও ক্ষতি। রমযানের দিনের বেলা কোনো সাওম পালনকারী যদি এ ধরনের কাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে করে ফেলে তাহলে সে গুনাহগার হবে। তার ঐ দিনের সাওম কাযা করতে হবে। কারণ বীর্যপাত করা সহবাসের মতোই।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেনে,
«كان رسول صلى الله عليه وسلم يقبل وهو صائم، وكان أملككم لإربه».
“আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমো দিতেন। কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য ছিলেন।” (সহীহ বুখারী)
একথার দ্বারা বুঝে আসে যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না রমযানের দিনের বেলা সাওম অবস্থায় তার চুমো দেওয়া জায়েয নেই। চুমো দিতে যেয়ে কামাবেগে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে সাওম নষ্ট হয়ে যাবে। তবে কাফফারা আদায় করতে হবে না। কাযা আদায় ও তওবা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত: যার ওপর সাওমের কাযা ওয়াজিব সে পরবর্তী রমযান আসার আগে যদি কাযা আদায় না করে তবে তার এ অলসতার জন্য তওবা ইস্তিগফার করতে হবে, কাযা আদায় করতে হবে ও প্রতিটি সাওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করতে হবে। সাহাবায়ে কেরামের এক জামা‘আত এ ফতোওয়া দিয়েছেন। একটি সাওমের কাফফারা হলো অর্ধ সা‘ খাদ্য যা বর্তমানে প্রায় এক কেজি পাঁচশ গ্রাম পরিমাণ হয়ে থাকে।