জওয়াব: গর্ভবতী মহিলার দুই অবস্থার যে কোনো এক অবস্থা থাকবে। হয়তো সে শক্তিশালী হবে। সিয়ামের কারণে তার কষ্ট হবে না ও গর্ভস্থিত বাচ্চার ওপর তার প্রভাব পড়বে না। এমতাবস্থায় তার সাওম পালন করতে হবে।
আর যদি সে দুর্বল হয়। সাওম সে বরদাশত করতে পারবে না বলে মনে হয় তাহলে সে সাওম আদায় করবে না। বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে সাওম বর্জন করা তার জন্য ওয়াজিব হবে। বাচ্চা প্রসবের পর সে কাযা আদায় করবে। সাওম পালন করলে অনেক সময় বাচ্চাকে দুধ পান করানোর সমস্যা দেখা দেয়। কেননা দুগ্ধ দানকারী মায়ের খাবার-দাবার গ্রহণের প্রয়োজন। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে যখন দিন বড় হয়ে থাকে। তখন সে সাওম বর্জন করতে বাধ্য হয়ে পড়ে। অন্যথায় তার বাচ্চার ক্ষতি হয়ে যাবে।
أفطري وإذا زال عنك العذر فإنك تقضين ما فاتك من الصوم
“এমতাবস্থায় আমরা তাকে বলব আপনি সাওম থেকে বিরত থাকুন। যখন আপনি সমস্যা মুক্ত হবেন তখন কাযা আদায় করবেন।”
কোনো কোনো ‘আলেম বলেছেন গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী মহিলা সাওম থেকে বিরত থাকতে পারেন যখন সিয়ামের কারণে বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হয়, নিজের ক্ষতির কারণে নয়। তাই তার জন্য ওয়াজিব হবে কাযা আদায় করা ও কাফফারা। তবে কাফফারা ঐ ব্যক্তি আদায় করবেন যার দায়িত্বে রয়েছে এ সন্তানের ভরন-পোষণ। কিন্তু বিশুদ্ধ মত হলো কাফফারা আদায়ের প্রয়োজন হবে না।
আর যে ব্যক্তি অন্য কাউকে পানি বা আগুন থেকে উদ্ধার করার জন্য সাওম ভঙ্গ করেছে তার হুকুমও ঐ মহিলার মতো, যে তার বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কায় সাওম থেকে বিরত থাকল অর্থাৎ সে সাওম থেকে বিরত থাকবে ও পরে কাযা আদায় করবে।
উদাহরণ: আপনি দেখলেন একটি ঘরে আগুন লেগেছে। সে ঘরের ভিতর মুসলিমগণ আছেন তখন তাদের উদ্ধার করার জন্য সাওম ভঙ্গ করে খাবার গ্রহণ করে শক্তি অর্জন করত তাদের উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন। এটা শুধু জায়েয নয়; বরং ওয়াজিব।