জওয়াব: না তাকে পিছনের সাওম আদায় করতে হবে না। কেননা সে তখন কাফের ছিল। আর কাফের থাকাকালীন সময়ে যে নেক কাজ অতিবাহিত হয়ে গেছে তাকে তা আদায় করতে হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِن يَنتَهُواْ يُغۡفَرۡ لَهُم مَّا قَدۡ سَلَفَ﴾ [الانفال: ٣٨]
“যারা কাফির তাদের বলে দাও যদি তোমরা কুফুরীর অবসান ঘটাও তাহলে তিনি তোমাদের অতীতে যা কিছু গেছে তা ক্ষমা করে দিবেন” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৮]
দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের কাউকে অতীতের সালাত, সাওম, যাকাত আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয় নি। কিন্তু কথা থেকে যায়, যে রমযানের দিনের মধ্যবর্তী সময়ে ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে তাকে কি খাওয়া-দাওয়া, যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকতে হবে, না কাযা আদায় করতে হবে -এ ব্যাপারে ওলামাদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে বিশুদ্ধতম মতো হলো তাকে দিনের বাকী সময়টা খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাযা আদায় করতে হবে না। কেননা দিনের শুরুতে যখন সাওম ওয়াজিব হওয়ার সময় এসেছে তখন তার ওপর তা ওয়াজিব হয় নি। তার মাসআলাটা ঐ কিশোরের মতো যে দিনের মধ্যবর্তী সময়ে বালেগ হয়েছে। তাকে বিরত থাকতে হবে। কাযা করতে হবে না।