কোনো এলাকায় আহলে সুন্নাত ওয়াল-জামা‘আতপন্থী ভালো ইমাম পাওয়া গেলে সেখানকার কোনো বিদ‘আতীর পেছনে জামা‘আতে সালাত আদায়ের প্রশ্নই আসে না। তবে যদি কোনো এলাকায় এমন কোনো ভালো ইমাম না থাকে তাহলে সেখানকার বিদ‘আতী ইমামকেই কুরআন ও সহীহ হাদীসের দৃষ্টিতে কোনো ভালো আলিম দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ‘আত সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝাতে হবে। যদি সে উক্ত নসীহত গ্রহণ করে বিদ‘আতগুলো ছেড়ে দেয় তাহলে তার পেছনে সালাত পড়া যাবে। আর যদি সে উক্ত নসীহত গ্রহণ না করে এবং তার বিদ‘আতটিও হচ্ছে কুফরি বিদ‘আত যেমনঃ সে বিপদাপদে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যকে ডাকে অথবা সে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর জন্য কোনো পশু জবাই ও মানত করে তাহলে তার পেছনে সালাত পড়া কোনোভাবেই জায়িয হবে না এবং বস্তুতঃ সে ইমাম হওয়ারও উপযুক্ত নয়। আর যদি তার বিদ‘আতটি কুফরি পর্যায়ের না হয়ে থাকে যেমন: সালাতে নিয়্যাত উচ্চারণের বিদ‘আত তাহলে তার পেছনে সালাত পড়া যাবে ঠিকই তবে তাকে সাধ্যমতো তা বুঝানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।