উমর এক অভিযানে পাঠালেন এক সেনাদলকে যার অধিপতি ছিলেন সারিয়া নামক এক ব্যক্তি। একদিন উমর খুতবা দিচ্ছিলেন, হঠাৎ তিনি খুতবার মাঝেই বলে উঠলেন: সারিয়া পাহাড়ের দিকে লক্ষ্য কর। দু’বার বললেন। লোকেরা এ ওর দিকে তাকাল, কিছুই বুঝল না। খুতবা শেষ হওয়ার পর তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন: আমি দেখলাম আমার সৈন্যদল একটি পাহাড়ের কাছে যুদ্ধ করছে এবং তারা সম্মুখ ও পিছন দিক থেকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে। তখন আমি চিৎকার করে উঠলাম যাতে তারা পাহাড়ের কাছে পৌঁছে যায়।
কিছুদিন পর সারিয়ার বার্তাবাহক খবর নিয়ে এল যে ঐ দিন জুমু‘আর সময় পর্যন্ত তারা যু্দ্ধ করে যাচ্ছিল, হঠাৎ সে সময় তারা চিৎকার শুনতে পেল: সারিয়া, পাহাড়ের দিকে লক্ষ্য কর। দু’বার শোনার পর আমরা পাহাড়ে পৌঁছে গেলাম আর আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় লাভ করলাম।
যখন মিশর বিজিত হলে, লোকজন ‘আমর ইবনু আল ‘আসের কাছে এল মাসের প্রথম দিন। তারা তাকে বলল যে, কোনো কোনো বছর নীল নদে পানি থাকে না। তখন তারা কোনো সুন্দরী মেয়েকে সাজিয়ে নদীর গর্ভে নিক্ষেপ করে মাসের একটি বিশেষ দিনে, তখন নীল নদে পানি প্রবাহিত হয়। শুনে আমর ইবন আল আস বললেন: এটা কখনো ইসলামে হতে পারে না, ইসলাম এসব রীতি-নীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে এসেছে।
তারপর তিনি উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে চিঠি লিখে সব জানালেন। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে একটি চিঠি দিলেন। আর নির্দেশ দিলেন চিঠিটি যেন আমর নীল নদে ফেলেন। সেখানে লেখা ছিল: আল্লাহর বান্দা উমর ইবনুল খাত্তাবের পক্ষ থেকে মিশরের নীল নদের প্রতি-
‘যদি তুমি নিজেই প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে আর প্রবাহিত হয়ো না। আর আল্লাহ যদি তোমাকে প্রবাহিত করে থাকেন, তাহলে আমি সর্বশক্তিমানের কাছে দু‘আ করছি যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত করেন।’
বিশেষ সেই দিনটির পূর্বেই চিঠিটি নীল নদে ফেলা হল। সকালে সবাই দেখল আল্লাহর ইচ্ছায় এক রাতে নীল নদ পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।