প্রথম প্রশ্ন: তাওহীদের সংজ্ঞা কী? তাওহীদ কত প্রকার?

উত্তর: তাওহীদের সব প্রকারের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হলো: পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসেবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোনো উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার জন্য ইলাহ ও মা‘বুদ (ইবাদতের একমাত্র যোগ্য), অতঃপর সব ধরণের ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁকে একক রাখা (কাউকে শরীক না করা)।

তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞায় তাওহীদের তিন প্রকারই শামিল করেছে। তা হলো:

প্রথমত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত: রবকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পরিচালনাকারী ও লালন পালনকারী হিসেবে স্বীকার করা।

দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন এবং কোনো সাদৃশ্য ও উপমা ব্যতীত, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে যেসব গুণাবলী এগুলোর ওপর প্রমাণ করে সে গুলো আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।

তৃতীয়ত: তাওহীদুল ইবাদাত: সব ধরণের ইবাদাতের জন্য আল্লাহকে এক ও একক করা এবং তাঁর সাথে শির্ক না করে ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকা। অতঃএব, তাওহীদের উপরোক্ত প্রকারসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধারণ না করলে ও এ গুলোকে প্রতিষ্ঠা না করলে বান্দা মুয়াহহিদ তথা একত্ববাদী হতে পারবে না।

দ্বিতীয় প্রশ্ন: ঈমান ও ইসলাম কী? এ দু’টির সাধারণ মূলনীতি কী?

উত্তর: ঈমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় ঈমান স্থাপন করা এবং সে অনুযায়ী আমল করাকে বলে ইসলাম। একমাত্র আল্লাহর সমীপে আত্মসমর্পণ করা ও তাঁরই আনুগত্য স্বীকার করাকে ইসলাম বলে।

ঈমান ও ইসলামের সাধারণ মূলনীতি নিম্নোক্ত আয়াতে একত্রিত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿قُولُوٓاْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَمَآ أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِيَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمۡ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّنۡهُمۡ وَنَحۡنُ لَهُۥ مُسۡلِمُونَ١٣٦﴾ [البقرة: ١٣٦]

“তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর ওপর এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের ওপর ও যা নাযিল করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের ওপর, আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে নবীগণকে। আমরা তাদের কারো মধ্যে তারতম্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৩৬]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে জিবরীলে ও অন্যান্য হাদীসে ঈমান ও ইসলামের ব্যাখ্যায় বলেছেন,

«الْإِيمَانُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ والْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ، وَتَحُجَّ الْبَيْتَ».

“ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে, আর তাকদিরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান রাখবে। ইসলাম হলো, তুমি এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো (সত্য) ইলাহ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমযানের সাওম পালন করবে এবং বাইতুল্লাহর হজ পালন করবে।”[1]

এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমানকে অন্তরের বিশ্বাস ও ইসলামকে শরী‘আতের বাহ্যিক আমলের দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন।

>
[1] সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, ১/৩৬, হাদীস নং ৮, উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত; সহীহ বুখারী, কিতাবুল ঈমান, ১/২৭, হাদীস নং ৮; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, ১/৩৯, হাদীস নং ৯, উভয়ে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।
তৃতীয় প্রশ্ন: আল্লাহর নামসমূহ ও সিফাতের সাথে ঈমানের আরকান কী কী?

উত্তর: আসমাউল হুসনা তথা আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের প্রতি ঈমান, এসব নামসমূহ থেকে নির্গত সিফাত তথা গুণসমূহের প্রতি ঈমান ও এসব নামের সিফাতের আহকাম ও এর সম্পৃক্ততার প্রতি ঈমান আনা। অতএব, আমরা ঈমান আনব যে, আল্লাহ আলীম তথা মহাজ্ঞানী, সব কিছুর ওপর তাঁর পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান রয়েছে। তিনি কাদীর তথা সর্বশক্তিমান, তিনি মহাশক্তির অধিকারী, সব কিছুর ওপর তাঁর শক্তি রয়েছে। আবার তিনি রাহীম তথা পরম দয়ালু, দয়াবান, প্রশস্ত দয়ার অধিকারী, যাকে ইচ্ছা তিনি দয়া করেন। এভাবে বাকী আসমাউল হুসনা তথা আল্লাহর সুন্দরতম নামসমূহ, সিফাতসমূহ ও এর থেকে নির্গত গুণসমূহের প্রতি ঈমান আনয়ন করা।

চতুর্থ প্রশ্ন: আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টির ঊর্ধ্বে এবং তিনি ‘আরশে উপবিষ্ট এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

উত্তর: আমরা জানি আমাদের রব মহান আল্লাহ সবদিক থেকে ঊর্ধ্বে ও উপরে। স্বত্বাগত দিক থেকে তিনি সবার ঊর্ধ্বে। ক্ষমতা ও গুণের দিক থেকেও সবার ঊর্ধ্বে। তিনি শক্তি ও পরাক্রমশালিতায়ও সবার ঊর্ধ্বে। তিনি সৃষ্টিকুল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি আমাদেরকে যেভাবে বলেছেন সেভাবে তিনি ‘আরশে উপবিষ্ট আছেন। তাঁর উপবিষ্টটা আমাদের জ্ঞাত, কিন্তু উপবিষ্টের ধরণ আমাদের অজ্ঞাত। তিনি কুরআনে আমাদেরকে বলেছেন, তিনি ‘আরশে উপবিষ্ট, তবে কীভাবে উপবিষ্ট তা আমাদেরকে বলেন নি। এভাবেই আমরা আল্লাহর অন্যান্য সিফাতের ব্যাপারে বলব যে, তিনি সেগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন, তবে সেগুলোর ধরণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি। অতএব, আমাদের কর্তব্য হলো আল্লাহ তাঁর কিতাবে এবং তাঁর নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পর্কে যা বলেছেন সেগুলোর প্রতি যেভাবে এসেছে সেভাবেই ঈমান আনব এবং এ সম্পর্কে বেশি বা কম কিছু করব না।

পঞ্চম প্রশ্ন: দুনিয়ার আসমানে (প্রথম আসমানে) আল্লাহর রহমত নাযিল হয় এবং তিনি নিজে আসেন এ সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

উত্তর: আল্লাহ নিজের জন্য যেসব গুণ যেমন রহমত, সন্তুষ্টি, জমিনে অবতরণ করা, আগমন করা ইত্যাদি যা বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পর্কে যেসব গুণ বর্ণনা করেছেন যা সৃষ্টির সাথে কোনো উপমা ও সদৃশ হয় না সেগুলোর প্রতি আমরা ঈমান আনি ও দৃঢ় বিশ্বাস করি। তাঁর অনুরূপ কিছু নেই। আল্লাহর যাতের অনুরূপ কোনো যাত নেই। এমনিভাবে আল্লাহর সিফাত আছে যা অন্যের সিফাতের (গুণের) সদৃশ নয়। একথার প্রমাণ হলো, কুরআন ও হাদীসে যেসব গুণের বিস্তারিত বর্ণনা আছে, আল্লাহর যেসব গুণের প্রশংসা রয়েছে এবং যেসব গুণ সাধারণভাবে তাঁর সদৃশ, সমকক্ষ, সমতা ও অংশীদার মুক্ত সেগুলো সাব্যস্ত করা।

ষষ্ঠ প্রশ্ন: আল্লাহর কালাম ও কুরআনের ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

উত্তর: আমরা বলব, আল-কুরআন আল্লাহর কালাম, এটি তাঁর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত, এটি তাঁর সৃষ্টি নয় এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাবে। এর শব্দ ও অর্থ স্বয়ং আল্লাহই কথা বলেছেন, তবে কুরআন আযালী (সর্বদা বিদ্যমান ছিলো এমন) নয়। আল্লাহর যখন ইচ্ছা তখন কথা বলেন ও বলবেন, তাঁর কথা নিঃশেষ হবার নয় এবং এর শেষ সীমাও নেই।

সপ্তম প্রশ্ন: সাধারণভাবে ঈমান কী? ঈমান কি বাড়ে কমে?

উত্তর: অন্তরের বিশ্বাসসমূহ ও কাজ, তদনুযায়ী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্ম সম্পাদন এবং জিহ্বা তথা জবানের স্বীকৃতিকে ঈমান বলে। অতএব, দীনের উসূল ও ফুরু‘ (মৌলিক নীতি ও শাখা-প্রশাখা) সব কিছুই ঈমানের মধ্যে শামিল। ফলে বিশ্বাসের শক্তি, ভালো আমল ও উত্তম কথাবার্তার কম-বেশির কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে।

অষ্টম প্রশ্ন: সম্পূর্ণ ফাসিকের হুকুম কী?

উত্তর: যে ব্যক্তি মুমিন ও তাওহীদে বিশ্বাসী কিন্তু বারবার গুনাহের কাজ করে সে ব্যক্তি মুমিন, যেহেতু তার ঈমান আছে, তবে সে ফাসিক। কেননা সে ঈমানের চাহিদা পূরণ করে নি, সে ব্যক্তি অপূর্ণাঙ্গ ঈমানদার। এ ধরণের লোকেরা ঈমানের কারণে আল্লাহর ওয়াদাকৃত নি‘আমতের অধিকারী হওয়ার যোগ্য আবার পাপের কারণে আল্লাহর শাস্তিরও প্রাপ্য। এতদসত্বেও সে ব্যক্তি জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে না। কেননা সাধারণত পূর্ণ ঈমান থাকলেই তা জাহান্নামে প্রবেশ করতে বারণ করে আর অপূর্ণ ঈমান হলে জাহান্নামে চিরস্থায়ী হতে বারণ করে।

নবম প্রশ্ন: মুমিনদের স্তর কয়টি ও কী কী?

উত্তর: মুমিনগণ তিন প্রকারের। একদল হলো সাবিকূনা ইলাল খাইরাত তথা কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। তারা হলো সেসব লোক যারা ফরয ও মুস্তাহাব যথাযথভাবে পালন করে এবং হারাম ও মাকরূহ থেকে বিরত থাকে। দ্বিতীয় দল হলো মুকতাসিদূন তথা মধ্যপন্থী। তারা হলো সেসব লোক যারা ফরয কাজসমূহ আদায় করেছেন আর হারাম বর্জন করেছেন। আর তৃতীয় দল হলো যালিমূনা লিআনফুসিহিম তথা নিজেদের ওপর যুলুমকারী। তারা সেসব লোক যারা ভালো ও মন্দ উভয় ধরণের কাজ করেছেন।

দশম প্রশ্ন: বান্দার কাজসমূহের হুকুম কী?

উত্তর: বান্দার ভালো-মন্দ সব কাজই আল্লাহর সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত এবং তাঁরই ইচ্ছায় ও ক্ষমতায় সম্পন্ন হয়ে থাকে; তবে বান্দা নিজেই এসব কাজের কর্তা। আল্লাহ কাউকে জবরদস্তি করেন না; যদিও সব কাজ তাঁরই ইচ্ছা ও শক্তিতে সংঘটিত হয়ে থাকে। এসব কাজ মূলত বান্দার নিজেরই কর্ম। তারা এসব কাজের দ্বারা নিজেরাই প্রশংসিত বা নিন্দিত হয়, ভালো কাজে পুরস্কৃত হয় আর মন্দ কাজে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়। বান্দার কাজসমূহ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সৃষ্টি। কেননা আল্লাহ এসব কাজ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই তাদেরকে এসব কাজ করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য প্রদান করেছেন। অতএব, এভাবেই যা কিছুই সংঘটিত হয় সেগুলো সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহের দলীল অনুযায়ী আমরা বিশ্বাস করি এসব কিছু আল্লাহর সৃষ্টি ও ব্যক্তি, গুণাবলী ও কাজ সব কিছুর ওপরই তাঁর কুদরত রয়েছে। এমনিভাবে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারে আমরা আরো বিশ্বাস করি যে, ভালো-মন্দ কাজের মূল কর্তা বান্দা নিজেই। তারা তাদের কাজের ব্যাপারে স্বাধীন। তারা তাদের পছন্দানুযায়ী ভালো বা মন্দ যে কোনো কাজ করতে পারে। আল্লাহ শুধু তাদের সামর্থ্য ও ইচ্ছাশক্তির স্রষ্টা। আর এ দুটো (সামর্থ্য ও ইচ্ছাশক্তি) তাদের কাজ ও কথাবার্তা সংঘটিত হওয়ার উপায় মাত্র। আর বস্তুর পূর্ণ উপকরণ সৃষ্টিকারীই বস্তুটির (মুসাববাবের) স্রষ্টা। আল্লাহ তাদেরকে কাজ করানোর জন্য জবরদস্তি করা থেকে পুত:পবিত্র, সুমহান ও সর্বাধিক ন্যায়পরায়ণ।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »