উত্তর: ভালো প্রকাশ করা আর ভিতরে মন্দ গোপন রাখাকে নিফাক বলে। নিফাক দু’প্রকার। বড় নিফাক, আর তা হলো বিশ্বাসে নিফাক। এ ধরণের মুনাফিক চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। এ প্রকারের মুনাফিকের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَمَا هُم بِمُؤۡمِنِينَ٨﴾ [البقرة: ٨]
“আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি’, অথচ তারা মুমিন নয়।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৮]
এরা অন্তরে কুফুরী পোষণ করে আর মুখে ইসলাম প্রকাশ করে।
আর দ্বিতীয় প্রকার নিফাক হলো ছোট নিফাক, আর তা হলো মানুষের কাজে কর্মের নিফাক। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের সম্পর্কে বলেছেন,
«آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ.
“মুনাফিকের আলামত তিনটি: যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।”[1]
অতএব, বড় কুফুরী ও বড় নিফাকী ঈমান ও আমলের কোন উপকারে আসবে না। তবে ছোট কুফুরী ও ছোট নিফাকী ঈমানের সাথে একত্রিত হতে পারে, এ ক্ষেত্রে বান্দার মধ্যে ভালো-মন্দ দুটোই থাকবে এবং ভালো কাজের বিনিময়ে সাওয়াব পাবে আর মন্দ কাজের কারণে শাস্তি ভোগ করবে।