রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ ، فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ ، كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ » . ( أخرجه النسائي و الطبراني ) .

“তোমরা হাজ্জ ও ওমরা উভয়টি বিলম্ব না করে পরপর সম্পাদন কর; কারণ, এই দু’টি দারিদ্র ও পাপরাশিকে এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাপর লোহা’র ময়লা দূর করে।”[1]

আর এই মহান ফযীলতের বিষয়টি অপর এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় আরও বিস্তারিতভাবে এসেছে, তিনি বলেছেন:

« أما خروجك من بيتك تؤم البيت الحرام ، فإن لك بكل وطأة تطؤها راحلتك يكتب الله لك بها حسنة ، ويمحو عنك بها سيئة . وأما وقوفك بعرفة فإن الله عز وجل ينزل إلى السماء الدنيا ، فيباهى بهم الملائكة، فيقول : هؤلاء عبادى جاءونى شُعْثًا غُبْرًا من كل فج عميق ، يرجون رحمتى ويخافون عذابى ولم يرونى ، فكيف لو رأونى ؟ فلو كان عليك مثل رمل عالج أو مثل أيام الدنيا أو مثل قطر السماء ذنوبا ، غسلها الله عنك . وأما رميك الجمار فإنه مذخور لك . وأما حلقك رأسك فإن لك بكل شعرة تسقط حسنة ، فإذا طفت بالبيت خرجت من ذنوبك كيوم ولدتك أمك » . ( أخرجه الطبراني ) .

“আর তোমার ঘর থেকে সম্মানিত ঘর কা‘বা’র উদ্দেশ্যে তোমার বের হওয়া মানেই তোমার জন্য তোমার বাহনের প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে সাওয়াব লেখা হয় এবং তোমার একটি করে পাপ মোচন হয়। আর তুমি যখন ‘আরাফাতের ময়দানে অবস্থান কর, তখন আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তারপর তিনি তাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন এবং বলেন: আমার বান্দাগণ আমার কাছে আউলা কেশে ধূলিমলিন অবস্থায় দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে এসেছে আমার রহমতের আশায় এবং আমার শাস্তির ভয়ে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি; সুতরাং তারা যদি আমাকে দেখত, তাহলে কেমন জানি হত? অতএব, যদি তোমার অপরাধ বালির স্তুপের মত হয় অথবা দুনিয়ার দিনসমূহের সমান হয় অথবা বৃষ্টির ফোটা পরিমাণ হয়, তবে তিনি তোমার সেই অপরাধ ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দিবেন। আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপ তোমার জন্য (সাওয়াব হিসেবে) সঞ্চিত থাকবে। আর তোমার মাথা মুণ্ডনের ফলে তোমার জন্য (মাটিতে) পতিত প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি করে সাওয়াবের ব্যবস্থা থাকবে। অতঃপর তুমি যখন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে, তখন তুমি তোমার গুনাহসমূহ থেকে ঐ দিনের মত পবিত্র হয়ে বেরিয়ে আসবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে (নিষ্পাপ অবস্থায়) প্রসব করেছে।”[2]

>
[1] নাসায়ী, হাদিস নং- ২৬৩০; ত্ববারানী, আল-কাবীর, হাদিস নং- ১১১৯৬ এবং অন্যান্য মুহাদ্দিস প্রমুখ হাদিসটি সাহল ইবন হাম্মাদ আবূ ‘উত্তাব আদ-দাল্লালের সনদে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: আমাদের কাছে ‘আযরা ইবন সাবিত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তিনি ‘আমর ইবন দিনার রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তারপর হাদিসের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন।

আমি বলি: এই সনদটি সহীহ এবং তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য। আর এই হাদিসের সমর্থনে আবদুল্লাহ ইবন ওমর, আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ ও জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম প্রমুখ হাদিস বর্ণনা করেছেন।

[2] ত্ববারানী, আল-কাবীর ( الكبير ), হাদিস নং- ১৩৫৬৬; আল-বায্যার, ‘কাশফুল আসতার’ ( كشف الأستار ), হাদিস নং- ১০৮২; আবদুর রাযযাক, আল-মুসান্নাফ ( المصنف ), হাদিস নং- ৮৮৩০; তাঁরা সকলেই মুজাহিদ রহ. এর সনদে আদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন

আমি বলি: হাদিসটি সহীহ। আর এই হাদিসের সমর্থনে বায্যার রহ. আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ১০৮৩; তবে তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে