আল্লাহর পথে জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরযে আইন, হয় অন্তর দিয়ে নতুবা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে, অথবা সম্পদ দিয়ে অথবা শক্তি প্রয়োগ করে; সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের উপর তার শক্তি, ক্ষমতা ও অবস্থান অনুযায়ী উল্লেখিত যে কোনো প্রকার পদ্ধতি অবলম্বনে জিহাদ করা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
بَلِ ٱلۡإِنسَٰنُ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦ بَصِيرَةٞ ١٤ وَلَوۡ أَلۡقَىٰ مَعَاذِيرَهُۥ
“বরং মানুষ নিজের সম্পর্কে সম্যক অবগত, যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।”[1]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি:
﴿ ٱشۡتَرَىٰ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَنفُسَهُمۡ وَأَمۡوَٰلَهُم ﴾ [التوبة: ١١١]
“নিশ্চয় তিনি মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন।”[2]
আর তাদেরকে তার বিনিময় দিয়েছেন এই বলে:
﴿ بِأَنَّ لَهُمُ ٱلۡجَنَّةَۚ ﴾ [التوبة: ١١١]
“(এর বিনিময়ে) তাদের জন্য আছে জান্নাত।”[3]
আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এই চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি গচ্ছিত রেখেছেন তাঁর নাযিলকৃত শ্রেষ্ঠ কিতাবসমূহে; আল-কুআনের ভাষায়:
﴿ وَعۡدًا عَلَيۡهِ حَقّٗا فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَٱلۡإِنجِيلِ وَٱلۡقُرۡءَانِۚ ﴾ [التوبة: ١١١]
“তাওরাত, ইঞ্জীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের হক ওয়াদা রয়েছে।”[4]
আর তিনি সেই প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং তাদেরকে সুসংবাদ দিয়েছেন এই বলে:
﴿ وَمَنۡ أَوۡفَىٰ بِعَهۡدِهِۦ مِنَ ٱللَّهِۚ فَٱسۡتَبۡشِرُواْ بِبَيۡعِكُمُ ٱلَّذِي بَايَعۡتُم بِهِۦۚ وَذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١١١ ﴾ [التوبة: ١١١]
“আর নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ্র চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কে আছে? সুতরাং তোমরা যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও। আর সেটাই তো মহাসাফল্য।”[5]
সুতরাং যে চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি তার রবের সাথে এ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি সম্পাদন করেছে, সে যেন চিন্তাভাবনা করে— তার ঝুঁকি কত বড় এবং তার প্রতিদান কত মহান! কারণ, আল্লাহ তা‘আলা হলেন স্বয়ং ক্রেতা এবং মূল্য হচ্ছে নি‘য়ামতপূর্ণ জান্নাত ও স্থায়ী সাফল্য; আর যাঁর হাত দিয়ে এই চুক্তির প্রচলন তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং ফিরিশতা ও মানবগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি; আর এই পণ্য, যার মূল্য এত বেশি, তা অবশ্যই কোনো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর জন্যই নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর যখন দাবিদারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলো, তখন তাদেরকে তাদের দাবির স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আহ্বান করা হলো; কারণ, মানুষকে যদি তাদের দাবি অনুযায়ীই (বিশুদ্ধতা যাচাই না করে) দেওয়া হত, তাহলে আকাশ, যমীন ও তার মধ্যবর্তী স্থানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হত।
আর যখন সাক্ষী-প্রমাণসহ বিভিন্ন রকম দাবিদারের আত্মপ্রকাশ ঘটলো, তখন তাদেরকে বলা হলো একটি মাত্র প্রমাণ ছাড়া কোনো দলীল-প্রমাণ ও দাবি-দাওয়া প্রতিষ্ঠিত ও সাব্যস্ত হবে না; আর সেই প্রমাণটি হলো আল-কুরআনের ভাষায়:
قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
“বলুন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[6]
ফলে সৃষ্টির অনেকেই পিছনে পড়ে গেলো, কেবল যারা কথায়, কাজে, দিক নির্দেশনায় ও নৈতিক চরিত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করেছে তারাই অবশিষ্ট থেকে গেলো; আল-কুরআনের ভাষায়:
فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ
“অতঃপর নিশ্চয় আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালবাসবে; তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে।”[7]
আর তখনই তাদের কাছে (সে আনুগত্য ও অনুসরণের) দীলল-প্রমাণসমূহের যথার্থতা তলব করা হলো, এবং বলা হলো: পরিশুদ্ধিতা ব্যতীত সাক্ষ্য প্রমাণের যথার্থতা সাব্যস্ত হবে না— আল-কুরআনের ভাষায়:
يُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوۡمَةَ لَآئِمٖۚ
“তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না।”[8]
আর তখনই মুজাহিদগণ দাঁড়িয়ে গেলো (জিহাদের মাধ্যমে নিজেদের দ্বারা রাসূলের আনুগত্যের দাবীর যথার্থতা প্রমাণের জন্য), অতঃপর তাদেরকে বলা হলো: নিশ্চয় মুমিনগণের জীবন ও সম্পদের মালিকানা তাদের নয়, সুতরাং তোমরা চুক্তির দাবি অনুযায়ী তা হস্তান্তর কর; কারণ পারস্পরিক ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি মোতাবেক উভয় পক্ষ থেকে বিনিময় হস্তান্তর করা আবশ্যক।
অতঃপর ব্যবসায়ীগণ যখন ক্রেতার মহত্ব এবং বিনিময় মূল্যের কদর (মর্যাদা) উপলব্ধি করলো, তখন তারা বুঝতে পারলো যে, এ পণ্যের এমন কদর ও মর্যাদা রয়েছে, যা অন্য কোনো পণ্যের নেই; ফলে তারা তাকে স্বল্প মূল্যে, মাত্র কয়েক দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করাটাকে স্পষ্ট ক্ষতি ও নিকৃষ্ট মানের প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করলো; কারণ যে এ ধরণের (স্পল্প মূল্যে বিক্রির) কাজ করবে, সে এমন এক মানুষ, যে নিজেকে বোকা বানিয়েছে এবং তার রবের মর্যাদাকে হালকা মনে করেছে।
তাই তারা যার (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলার) সাথে বিনিময় চুক্তি করেছে, (যেখানে ক্রেতা হলেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা) তার সাথে সন্তোষ ও স্বেচ্ছায় এমন সন্তুষ্টির চুক্তি সম্পাদন করেছে যাতে কোনো খেয়ার (চুক্তি বহাল রাখা বা না রাখার স্বাধীনতা) রাখেনি; আর তারা বলে: আমরা আপনার সাথে কৃত চুক্তি ভঙ্গ করব না এবং আপনার নিকট চুক্তি ভঙ্গ করার আবেদনও করব না; অতঃপর যখন চুক্তি পরিপূর্ণ হয়ে গেলো এবং তারা বিক্রিত মাল হস্তান্তর করে দিল (জান ও মাল), তখনই তাদেরকে বলা হলো: তোমরা ওঠো! তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। আল-কুরআনের ভাষায়:
﴿ فَٱلَّذِينَ هَاجَرُواْ وَأُخۡرِجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَأُوذُواْ فِي سَبِيلِي وَقَٰتَلُواْ وَقُتِلُواْ لَأُكَفِّرَنَّ عَنۡهُمۡ سَئَِّاتِهِمۡ وَلَأُدۡخِلَنَّهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ ثَوَابٗا مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسۡنُ ٱلثَّوَابِ ١٩٥ ﴾ [ال عمران: ١٩٥]
“কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে, আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহরই কাছে রয়েছে।”[9]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« الْقَتْلُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ يُكَفِّرُ كُلَّ شَىْءٍ إِلاَّ الدَّيْنَ » . ( أخرجه مسلم ) .
“আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়া ঋণ ছাড়া সব কিছু মাফ করিয়ে দেয়।”[10]
আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
« أنَّ رَجُلاً قَامَ ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تُكَفَّرُ عَنِّي خَطَايَايَ ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « نَعَمْ ، إِنْ قُتِلْتَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَنْتَ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ مُقْبِلٌ غَيْرُ مُدْبِرٍ » . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « كَيْفَ قُلْتَ » . قَالَ : أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، أتُكَفَّرُ عَنِّي خَطَايَايَ ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « نَعَمْ ، وَأَنْتَ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ مُقْبِلٌ غَيْرُ مُدْبِرٍ ، إِلا الدَّيْنَ , فَإِنَّ جِبْرِيلَ قَالَ لِي ذَلِكَ » . ( أخرجه مسلم ) .
“এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপিন কি মনে করেন যে, আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত (শহীদ) হই, তাহলে আমার সকল পাপ মোচন হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন: হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, সাওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায় নিহত হও। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি কি বললে? তখন সে ব্যক্তি (আবার) বলল: আপিন কি মনে করেন যে, আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত হই, তাহলে আমার সকল পাপের কাফ্ফারা হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, সাওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায় নিহত হও; তবে ঋণের বিষয়টি আলাদা। কেননা, জিবরাঈল আ. আমাকে একথা বলেছেন।”[11]
আল্লাহর পথের আহ্বানকারী, আল্লাহর সম্মানিত ঘর জান্নাতের দিকে আহ্বানকারী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আত্মা এবং সুউচ্চ সাহসী মনগুলোকে নাড়িয়ে দিয়েছে,
فحيهلاً إن كنت ذا همة فقد
حدا بك حادي الشوق فاطو المراحلا
সুতরাং এগিয়ে এস যদি তুমি সত্যিকার সাহসী দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হয়ে থাক, কারণ আবেগ মিশ্রিত গানে তোমাকে গায়ক গান গেয়ে ডাক দিয়ে যাচ্ছে সুতরাং তুমি দ্রুত পর্যায়গুলো অতিক্রম করে আস
হে ঈমানদার ভাই তোমার আত্মাকে সে জন্য তৈরী কর:
قد هيؤوك لأمر لو فطنت له
فأربأ بنفسك أن ترعى مع الهمل
তোমাকে এমন এক মহৎ কাজের জন্য তৈরী করা হয়েছে যদি তুমি তার জন্য সাবধান হতে..
সুতরাং তুমি তোমার আত্মাকে অধো-বুদ্ধিহীনদের কাতারে চারণ করতে দেওয়া থেকে উপরে উঠিয়ে রাখ।
আর জেনে রাখবেন যে, আল্লাহ তা‘আলার পণ্য খুব দামী এবং তার মূল্য হলো জীবন ও সম্পদ তার মালিকের জন্য ব্যয় করা, যা তিনি মুমিনগণের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়েছেন।
আর আল্লাহর কসম! এটা এমন দুর্বল বা কম দামী পণ্য নয় যে, নিঃস্ব কাপুরুষ ব্যক্তিগণ তার দাম করতে পারে এবং তা বিক্রয়ের অযোগ্য পণ্যও নয় যে, কোনো তুচ্ছ হতদরিদ্র ব্যক্তি তা ক্রয় করে ফেলবে।ইচ্ছুক ক্রেতাদের জন্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই পণ্য বাজারে উঠানো হয়েছে, আর (ক্রেতাসকলের পক্ষ থেকে) বলা হয়েছে: আরো বেশি আছে কি? আর তার প্রতিপালক গ্রীবাস্থিত ধমনীর বিনিময় ছাড়া আর অন্য কোনো দামে তা বিক্রি করতে রাজি নন।
>[2] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১
[3] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১
[4] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১
[5] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১
[6] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১
[7] সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫৪
[8] সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫৪
[9] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯৫
[10] ইমাম মুসলিম রহ. হাদিসটি আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবনিল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ৪৯৯২
[11] মুসলিম, হাদিস নং- ৪৯৮৮