৪. ১০. পবিত্র মাসজিদে আকসায় সালাত আদায় করা:

মাসজিদে আকসা ঐসব মাসজিদের অন্তর্ভুক্ত, যেগুলোর দিকে ইবাদত করার জন্য ভ্রমণ করা যায়; কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাকে অনেক বেশি মর্যাদা দিয়েছেন, এর মর্যাদা সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা দরকার যে, তাতে সালাত আদায় করলে গুনাহ্-খাতা মাফ হয় এবং পাপরাশি মোচন হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« إنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُد عَلَيْهِمَا الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمَّا بَنَى بَيْتَ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خِلَالًا ثَلَاثًا: سَأَلَ اللَّهَ تَعَالَى حُكْمًا يُصَادِفُ حُكْمَهُ فَأُوتِيَهُ ، وَسَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ فَأُوتِيَهُ ، وَسَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حِينَ فَرَاغِهِ مِنْ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ أَنْ لَا يَأْتِيَهُ أَحَدٌ لَا يَنْهَزُهُ إلَّا الصَّلَاةُ فِيهِ أَنْ يُخْرِجَهُ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ . ونحنُ نَرْجُو أنْ يَكُوْنَ اللهُ تعالى قَدْ أعطاهُ ذَلِكَ» . ( أخرجه النسائي و ابن ماجه و أحمد و الحاكم ) .

“দাঊদ ‘আলাইহিস সালামের পুত্র সুলাইমান ‘আলাইহিস সালাম যখন বাইতুল মুকাদ্দাস নির্মাণ করলেন, তখন তিনি আল্লাহ তা‘আলার নিকট তিনটি জিনিস চাইলেন: তিনি আল্লাহ তা‘আলার নিকট এমন প্রজ্ঞা চাইলেন, যা তাঁর শাসন পরিচালনার উপযুক্ত হয়; তাঁকে তা দেওয়া হল। আর তিনি আল্লাহ তা‘আলার নিকট এমন এক রাজ্য চাইলেন, যা তাঁর পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না; অতঃপর তাঁকে তাও দেওয়া হল। আর তিনি যখন মাসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ করলেন, তখন তিনি আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করলেন যে, কোনো ব্যক্তি তাতে শুধু সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে আসলে তিনি যেন তাকে তার গুনাহ থেকে ঐ দিনের মত মুক্ত করে দেন, যেদিন তার মা তাকে নিষ্পাপ অবস্থায় প্রসব করেছে। আর আমরা আশা করি যে, আল্লাহ তাঁকে এটাও দিয়েছিলেন।”[1]

আর এই বরকতময় মাসজিদটি আজ অভিশপ্ত ইয়াহূদীদের পদতলে কাঁদছে, যারা মুসলিমগণ কর্তৃক তাদের দীন থেকে গাফলতির সুযোগে ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ফিলিস্তিনের একটি অংশসহ মাসজিদটিকে দখল করে নিয়েছে।

হায়! তারা কাঁদার অভিনয় করছে ... বরং তোমরা কাঁদ এমন এক হারানো রাজ্যে যাকে উদ্ধার বা হেফাজত করার মত পুরুষ লোক নেই।হে আল্লাহ! আপনি তার জন্য সুস্পষ্ট বিজয়ের ব্যবস্থা করুন এবং খুব নিকটবর্তী সময়ের মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতার ব্যবস্থা করুন ... আর সেই দিন মুমিনগণ ঐ আল্লাহর সাহায্য নিয়ে আনন্দে উৎফুল্ল হবে, যিনি কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে।

>
[1] নাসায়ী: (২/৩৪); ইবনু মাজাহ: (১৪০৮); আহমাদ: (২/১৭৬); ইবনু হিব্বান: (৬৩৮৬); হাকেম: (২/৪৩৪); তাঁরা হাদিসটি আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন।

আমি বলি: হাদিসটি সহীহ।