অতঃপর হে দীনি ভাই! অবশ্যই আপনাকে দীনের ব্যাপারে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের দ্বারা ন্যায় জানতে হবে এবং অবশ্যই আপনাকে এর দ্বারা অন্যায়কে জানতে হবে। তারপর আপনাকে ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের ওয়াজিব কাজটি করতে হবে। কারণ দীনের ব্যাপারে শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন করা এটি সৌভাগ্যের প্রতীক ও এ নিদর্শন যে আল্লাহ বান্দার কল্যাণ চান।

যেমন মু‘আওয়িয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

«مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ».

“আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দীনের ফিকহ বা গভীর জ্ঞান শিক্ষা দেন।”[1]

অতএব আপনি যখন কোনো ব্যক্তিকে ইলম অনুসন্ধানের বৈঠক অনুসরণ করতে দেখবেন এবং ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে দেখবেন এবং তা শিখতে ও অর্জন করতে দেখবেন তখন মনে করে নিবেন যে আল্লাহ তার কল্যাণ চেয়েছেন এটি তারই নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সে যেন এটিকে অপরিহার্য মনে করে এবং এর জন্য চেষ্টা করে, কোনো ধরনের ক্লান্তি ও দুর্বলতা প্রকাশ না করে। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا، سَهَّلَ اللهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ».

“যে ব্যক্তি ইলম/জ্ঞান অর্জনের রাস্তায় চলবে, আল্লাহ তা‘আলা সে ব্যক্তির জন্যে জান্নাতের যাওয়ার রাস্তাকে সহজ করে দিবেন।”[2]অতএব, ইলম অনুসন্ধান করার মহা মর্যাদা রয়েছে। এটি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের শামিল, মুক্তির কারণসমূহের অন্তর্ভুক্ত এবং কল্যাণের প্রতীকসমূহের অন্তর্ভুক্ত।

[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩৭।

[2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৯৯।