ধৈর্য ধারণ করা এবং প্রতিদানের আশা রাখা

আলেম, দা‘ঈ ও ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধকারীদের যাকে আল্লাহ ধৈর্যের, সাওয়াবের আশার ও আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠতার তাওফীক দিয়েছেন, সে সফল হয়েছে, তাওফীক প্রাপ্ত হয়েছে, হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ তার দ্বারা উপকার প্রদান করেছেন, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ﴾ [الطلاق: ٢، ٣]

“এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার জন্য (বিপদ ও পরীক্ষা থেকে) বের হওয়ার রাস্তা সৃষ্টি করে দিবেন এবং তাকে রুযী প্রদান করবেন তার ধারণাতীত উৎস থেকে।” [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ২-৩]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন:

﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مِنۡ أَمۡرِهِۦ يُسۡرٗا ٤﴾ [الطلاق: ٤]

“আর যে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার জন্য তার সকল কর্মকে সহজ করে দিবেন।” [সূরা ত্বালাক, আয়াত: ৪]

মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن تَنصُرُواْ ٱللَّهَ يَنصُرۡكُمۡ وَيُثَبِّتۡ أَقۡدَامَكُمۡ ٧﴾ [محمد: ٧]

“হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পাসমূহ (অবস্থান) সুদৃঢ় করবেন।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন:

﴿بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣﴾ [العصر: ١، 4]

“পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহুর নামে আরম্ভ করছি”। সময়ের শপথ, নিশ্চয় সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করেছে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে ও পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে তারা নয়। [সূরা আল-আসর, আয়াত: ১-৩]

অতঃপর দুনিয়া ও আখিরাত সফল লাভবান হলো মুমিনগণ, সৎকর্ম সম্পাদনকারীগণ, পরস্পর সত্যের উপদেশ দানকারী ও পরস্পর ধৈর্যের উপদেশ দানকারীগণ।

আর এটা জানা বিষয় যে, নিশ্চয় ন্যায়ের আদেশ, অন্যায়ের নিষেধ, পরস্পর সত্যের প্রতি আহ্বান করা ও পরস্পর ধৈর্যের উপদেশ দেওয়া তাকওয়ার অন্তর্ভুক্ত, তারপরও আল্লাহ সুবহানাহু এর কথা বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার ও এর দিকে (মানুষকে) উৎসাহ প্রদান করার জন্যে। উদ্দেশ্য হলো: নিশ্চয় যে ব্যক্তি ন্যায়ের আদেশ করবে, অন্যায়ের নিষেধ করবে সে ব্যক্তি এ মহা গুণগুলোর অধিকারী, পূর্ণলাভ ও চিরসুখ অর্জন করে উত্তীর্ণ হবে যখন তার এর ওপর মৃত্যু হবে। নিম্নে বর্ণিত আল্লাহর বাণী এ মহাগুণে গুণান্বিত হওয়ার আবশ্যিকতাকে আরো শক্তিশালী করে।

﴿وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٢ ﴾ [المائ‍دة: ٢]

“সৎকর্ম ও আল্লাহ ভীতির কাজে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সাহায্য করো না। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ২]