ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলা-মেশা রোধ করা:

ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলা-মেশা রোধ করা যুব সমাজের অবক্ষয় হতে বাঁচানোর জন্য খুবই জরুরী। কিন্তু বর্তমান দুনিয়াতে ছেলে মেয়েদের সহাবস্থান মানবতার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনছে। স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব ধরনের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছেলে মেয়ে একসাথে বসে লেখা পড়া করছে। শিক্ষক শিক্ষিকা এক সাথে উঠ-বস করছে। এটি যে একটি অপরাধ বা মানব সভ্যতার পরিপন্থী এ অনুভূতিই আজ তাদের মধ্যে হারিয়ে গেছে। পরিস্থিতি এতই নাজুক যে এ কথা বলাই যেন একটি অপরাধ। যারা এ ধরনের কথা বলবে, তারা প্রগতি বিরোধী এবং অগ্রগতি ও উন্নতির প্রতিবন্ধক। মেইল, ফ্যাক্টরি ও গার্মেন্টসে ছেলে মেয়ে একত্র ধাক্কা-ধাক্কি করে পঙ্গ পালের মত প্রবেশ করা, উভয় লিঙ্গের বিপরীত শ্রেণীর ছেলে মেয়েদের এক সাথে একান্তে কাজ করা ইত্যাদি দ্বারা সংঘটিত অপরাধ বনের পশুদেরকেও হার মানিয়েছে।

মনে রাখতে হবে, শরীয়তের বিধান হল, বেগানা নারী-পুরুষের কোনো নির্জন স্থানে একাকী বাস, কিছু ক্ষণের জন্যও লোক-চক্ষুর অন্তরালে, ঘরের ভিতরে, পর্দার আড়ালে একান্তে অবস্থান শরীয়তে হারাম। যেহেতু তা ব্যভিচার না হলেও ব্যভিচারের নিকটবর্তী করে, ব্যভিচারের ভূমিকা অবতারণায় সহায়িকা হয়। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কোন পুরুষ যেন কোনো নারীর সাথে একান্তে গোপনে অবস্থান না করে। কারণ, শয়তান উভয়ের কুটনি হয়।”

এ ব্যাপারে সমাজে অধিক শৈথিল্য পরিলক্ষিত হয় দেওর-ভাবী ও শালী-বুনাই-এর ক্ষেত্রে। অথচ এদের মাঝেই বিপর্যয় ঘটে অধিক। তাই আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের পক্ষে তাদের দেবরকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছেন।”

অতএব দেবরের সাথে মায়ের বাড়ি, ডাক্তারখানা, অনুরূপ বুনাই-এর সাথে বোনের বাড়ি, ডাক্তারখানা বা কোনো বিলাস-বিহারে যাওয়া-আসা এক মারাত্মক বিস্ফোরক বিষয়।

তদনুরূপ তাদের সাথে কোনো কামরা বা স্থানে নির্জনতা অবলম্বন, বাড়ির দাসী বা দাসের সাথে গৃহকর্তা বা কর্ত্রী অথবা তাদের ছেলে-মেয়ের সাথে নিভৃত বাস, বাগদত্তা বরকনের একান্তে আলাপ বা গমন, বন্ধু-বান্ধবীর একত্রে নির্জন বাস, লিফটে কোনো বেগানা যুবক-যুবতীর একান্তে উঠা-নামা, ডাক্তার ও নার্সের একান্তে চেম্বারে অবস্থান, টিউটর ও ছাত্রীর একান্তে নির্জন বাস ও পড়াশোনা, স্বামীর অবর্তমানে কোনো বেগানা আত্মীয় বা বন্ধুর সাথে নির্জন বাস, ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে বা রিক্সায় রিক্সাচালকের সাথে নির্জনে গমন, পীর ও মহিলা মুরীদদের একান্তে বায়াত ও তা’লীম প্রভৃতি একই পর্যায়ের; যাদের মাঝে শয়তান কুটনি সেজে অবৈধ বাসনা ও কামনা জাগ্রত করে কোনো পাপ সংঘটিত করতে চেষ্টা করে।

বারুদের নিকট আগুন রাখা হলে বিস্ফোরণ তো হতেই পারে। যেহেতু মানুষের মন বড় মন্দ প্রবণ এবং দুর্নিবার কামনা ও বাসনা মানুষকে অন্ধ ও বধির করে তোলে। তা ছাড়া নারীর মাঝে রয়েছে মনোরম কমনীয়তা, মহনীয়টা এবং চপলতা। আর শয়তান তো মানুষকে অসৎ কাজে ফাঁসিয়ে দিয়ে আনন্দ বোধ করে থাকে।