আকাশ সংস্কৃতির অগ্রাসন যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। আকাশ সংস্কৃতির কারণে, আজ মানুষ ঘরে বসেই সারা দুনিয়ার সব কিছুই অবলোকন করছে। ঘরে বসে নগ্ন, অর্ধ-নগ্ন, বেহায়াপনা, অশ্লীল গান-বাজনা, নাটক সিনেমা দেখে তারা তাদের নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। যে সময়কে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎ গঠন করতে পারত, তা না করে তারা তাদের নিজেদের ধ্বংস নিশ্চিত করছে। আকাশ সংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবল আমাদের তরুণ সমাজকে প্রতিদিন নৈতিক অক্ষয়ের দিক নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের তথাকথিত সংস্কৃতি মনা নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিকদের কারণে আমাদের তরুণ সমাজ দিনের পর দিন নৈতিক অবক্ষয় ও ধ্বংসের অবলীলায় নিপতিত হচ্ছে। তাদের চরিত্র ধ্বংস করার পেছনে মূলত এসব নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিকদের ভূমিকা বা অবদান অনেক বেশী। তারা তরুণ প্রজন্মকে চুরি, ডাকাতি, মাতা-পিতার অবাধ্যতা, ছেলে-মেয়ের অবাধ মেলা-মেশা ইত্যাদি শেখাচ্ছে। ভালো কিছু তারা জাতিকে দিতে পারেনি।

আকাশ সংস্কৃতির কারণে আজকাল আমরা দেশীয় সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছি, যার প্রভাব পড়ছে আজকাল তরুণদের মনে।

বিজাতীয় সংস্কৃতিতে মদ্যপানের ঘটনা অহরহ থাকে বিধায় আমাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এইসব বাজে জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। মসজিদে গিয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করার থেকে DJ Party তে গিয়ে উদ্দাম নৃত্য, মাতলামি এবং বেহায়াপনায় তারা বেশী মনোযোগী হয়ে পড়ছে। নাট্যকার অথবা চলচ্চিত্রকাররাও সমাজের অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয়গুলো পর্দার মাধ্যমে তুলে ধরে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরির করার চেয়ে কিভাবে তা মানুষের মাঝে অভ্যাসে পরিণত করা যায় সেই চেষ্টায় বেশী করে থাকে। ফলে নাটক সিনেমাগুলোর প্রধান বিষয়ই থাকে নারী পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা, অবাস্তব প্রেম ভালোবাসা, অশালীন গালিগালাজ, অবৈধ যৌনাচার। মনে হয় যেন এই ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো ভালো বিষয় নেই। প্রেমের কারণে বাবা মাকে কিভাবে অপমান করতে সন্তান দ্বিধা-বোধ করেনা, তাই দেখানো হয়। ফলে তরুণ প্রজন্ম দিনদিন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছে আর সিনেমার দৃশ্য অনুসরণ করতে গিয়ে ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বাবা মাকে খুশী করার চেয়ে আজকাল তরুণ তরুণীরা তাদের প্রিয়তম/প্রিয়তমার মন জোগাতে বেশী ব্যস্ত। ভালবাসার মানুষটির মন জোগানোর জন্য বাবার পকেট চুরি করা হচ্ছে নয়তো মায়ের টাকার পার্সে হানা দেওয়া হচ্ছে।