শায়খ আল্লামা আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায র. এর ভূমিকা

الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وأصحابه ومن اهتدى بهداه. أما بعد،

‘আল্লাহ তা‘আলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র: কিছু আদর্শিক নীতিমালা’ শিরোনামে আমাদের সম্মানিত ভাই আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল উসাইমীন রচিত মূল্যবান গ্রন্থটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি শুনেছি। এ এক অতি মূল্যবান গ্রন্থ। এতে আছে আল্লাহ তা‘আলার নাম ও গুণসমূহের ব্যাপারে সালাফদের আকীদার বর্ণনা, আল্লাহ তা‘আলার নাম ও সিফাত বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতিমালা এবং খুব উপকারী কিছু আলোচনা। আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাঁর মাখলুকের ‘সঙ্গে থাকা’র অর্থ কি লেখক তা ব্যাখ্যা করেছেন, হোক তা সুনির্দিষ্টভাবে সঙ্গে থাকার বিষয় উল্লিখিত হওয়ার ক্ষেত্রে অথবা অনির্দিষ্টভাবে সঙ্গে থাকার বিষয় উল্লিখিত হওয়ার ক্ষেত্রে। তিনি বলেছেন যে এ ‘সঙ্গে থাকা’র যে প্রকৃত অর্থ রয়েছে সে অনুযায়ী তা হক ও সত্য। আর এ ‘সঙ্গে থাকা’ মাখলুকের সাথে মিশ্রিত হয়ে থাকা বা মিশে থাকাকে দাবি করে না। পবিত্র মহান আল্লাহ তা‘আলা বরং আরশের ওপরে- যেভাবে তিনি নিজ সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছেন এবং যেভাবে আল্লাহ সুবহানাহুর জন্য উপযোগী ঠিক সেভাবে- আছেন বরং এ ‘সঙ্গে থাকা’র অর্থ হলো, বান্দা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলার সম্যক জ্ঞান ও অবগতি এবং সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণ। তাদের কথাবার্তা ও নাড়াচাড়া শোনা। তাদের অন্তর্গত ও বহির্গত অবস্থা দেখা। তাঁর রাসূলগণ ও মুমিনদের হিফাজত করা ও সুরক্ষা দেওয়া। তাদের সাহায্য করা ও তাওফিক দেওয়া ইত্যাদি।

এ গ্রন্থে আরো আছে বাতিলপন্থীদের আকীদা বিশ্বাসের খণ্ডন ও প্রতিবাদী বিশ্লেষণ। আল্লাহ তাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন, তার ছাওয়াব বাড়িয়ে দিন, আমাদেরকে ও তাকে আরো অধিক জ্ঞান, হিদায়েত ও তাওফিক দান করুন। পাঠকসহ সকল মুসলিমকে এ গ্রন্থ থেকে উপকার লাভের তাওফিক দান করুন। নিশ্চয় তিনি দো‘আ কবুলের মালিক এবং প্রার্থনা মঞ্জুর করে নেয়ার ব্যাপারে অতি ক্ষমতাবান।

অনুলিপি করিয়েছেন আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায- আল্লাহ তাকে মাগফিরাত দানে ভূষিত করুন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।

আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায

মহাপরিচালক

ইলমী গবেষণা, ইফতা, দাওয়াত ও ইরশাদ বিষয়ক অফিসমূহ

৫/১১/১৪০৪ হি.