অনুরূপভাবে মানুষ নিজেরা একে অপরের জন্য পরীক্ষা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَا قَبۡلَكَ مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّآ إِنَّهُمۡ لَيَأۡكُلُونَ ٱلطَّعَامَ وَيَمۡشُونَ فِي ٱلۡأَسۡوَاقِۗ وَجَعَلۡنَا بَعۡضَكُمۡ لِبَعۡضٖ فِتۡنَةً أَتَصۡبِرُونَۗ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيرٗا ٢٠﴾ [الفرقان: ٢٠]
“আর তোমার পূর্বে যত নবী আমরা পাঠিয়েছি, তারা সবাই আহার করত এবং হাট-বাজারে চলাফেরা করত। আমরা তোমাদের একজনকে অপরজনের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। তোমরা কি ধৈর্যধারণ করবে? আর তোমার রব সর্বদ্রষ্টা”। [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ২০]
আল্লাহ তা‘আলা কতক মানুষকে কতক মানুষ দ্বারা পরীক্ষা করেন। মুমিনকে কাফের দ্বারা পরীক্ষা করেন। আবার কখনো মুমিনকে মুমিন দ্বারাও পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱتَّبَعُواْ ٱلۡبَٰطِلَ وَأَنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّبَعُواْ ٱلۡحَقَّ مِن رَّبِّهِمۡۚ كَذَٰلِكَ يَضۡرِبُ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ أَمۡثَٰلَهُمۡ ٣﴾ [محمد : ٣]
“তা এ জন্য যে, যারা কুফরি করে তারা বাতিলের অনুসরণ করে, আর যারা ঈমান আনে তারা তাদের রবের প্রেরিত হকের অনুসরণ করে। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্য তাদের দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন”। [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩]
অনেক সময় মুমিন-মুসলিমকে তাদের শত্রু কাফের, মুশরিক, মুনাফেক ও অবাধ্যদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। কাফের, মুশরিক যারা আল্লাহর শত্রু তাদের আল্লাহর দিকে আহ্বান করা, ভালো কাজের আদেশ ও অসৎ কর্ম হতে নিষেধ করা, তাদের বিপক্ষে জিহাদ করা অথবা তা না করে তাদের আনুগত্য করা, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ইত্যাদি দ্বারা মুমিনদের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যায়। যদি মুমিনরা তাদের আল্লাহর দিকে আহ্বান করে, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কর্ম থেকে নিষেধ করে এবং তাদের বিপক্ষে জিহাদে অংশ গ্রহণ করে, তাহলে তারা কল্যাণের ওপর থাকবে এবং পরীক্ষায় সফল। আর যদি তাদের আনুগত্য স্বীকার করে, তাদের অনুকরণ করে, তাদের সাথে গা ভাসিয়ে দেয় এবং তাদের বিপক্ষে কোনো কথা বলে না, তাদের সৎ কর্মের আদেশ দেয় না, অসৎ কর্ম হতে নিষেধ করে না, তাহলে তারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য, তারা ক্ষতির মধ্যে রয়েছে এবং আল্লাহর পরীক্ষায় তারা ফেল করল। তাদের দাওয়াত না দেওয়া, ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ না দেওয়া, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-জিহাদ না করা দ্বারা বুঝা গেল, তাদের ঈমান দুর্বল। তারা ঈমানী পরীক্ষায় ফেল।