দয়া ও মেহমানদারি তাদের একটি বিশেষ গুণ। এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা মনোভাব লক্ষ্য করা যেত। এ গুণের ওপর তারা এত গর্ব করতো যে, আরবের অর্ধেক মানুষই কবি হয়ে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে তারা তাদের নিজেদের এবং পরস্পরের প্রশংসা করত। কখনো এমন হত যে, প্রচণ্ড শীত এবং অভাবের সময়ও হয়তো কারো বাড়ীতে মেহমান এলো। সেই সময় গৃহ স্বামীর কাছে একটা মাত্র উটই ছিল সহায়-সম্বল। গৃহস্বামী মেহমানদারি করতে গিয়ে সেই উটটিই যবেহ করে দিতো।[1]
এক লোক হাতেমকে জিজ্ঞাসা করল, আরবের মধ্যে তোমার চেয়েও দানশীল কোনো লোক আছে কি? উত্তরে হাতেম বলল, সমগ্র আরববাসী আমার চেয়ে আরও অধিক দানশীল। তারপর তিনি একটি ঘটনা বললেন, এক রাতে আমি একজন এতিম যুবকের বাড়িতে মেহমান হলাম। তার একশটি বকরী ছিল। সে তা থেকে একটি আমার জন্য যবেহ করে নিয়ে আসল। যখন সে বকরীর মগজ আমার সামনে আনল, আমি বললাম, মগজটি খুবই সু-স্বাদু। তারপর সে আমার সামনে একটি করে পেশ করতে লাগল। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি যথেষ্ট না বললাম ততক্ষণ পর্যন্ত সে বার বার মগজ আনতে লাগল। সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি সে একশটি ছাগল সবগুলো যবেহ করে ফেলছে। এখন তার আর কিছুই নেই। আমি তাকে বললাম, তুমি এ সব কি করলে? সে বলল, আমি যদি সব কিছুই কুরবানি করি, তারপরও তার শুকর আদায় করে শেষ করতে পারব না। হাতেম বলল, তারপর আমি তাকে আমার ভালো ভালো উষ্টি থেকে একশটি উষ্টি তাকে দিয়ে দেই।[2]

>
[1] রাহীকুল মাখতুম: পৃ. ৫৮।

[2] ইবন আবিদ দুনিয়ার মেহমানের মেহমানদারি: হাদীস নং ২৫।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে