ইবরাহীম আলাইহিস সালামের মেহমানদারি

ইবরাহীম আলাইহিস সালাম স্বীয় মেহমানের মেহমানদারিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তা‘আলা তার ঘটনা বর্ণনা করার সময় তার মেহমানদারির বিষয় প্রসংশনীয় ভাবে উল্লেখ করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ضَيۡفِ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡمُكۡرَمِينَ ٢٤ إِذۡ دَخَلُواْ عَلَيۡهِ فَقَالُواْ سَلَٰمٗاۖ قَالَ سَلَٰمٞ قَوۡمٞ مُّنكَرُونَ ٢٥ فَرَاغَ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ فَجَآءَ بِعِجۡلٖ سَمِينٖ ٢٦ فَقَرَّبَهُۥٓ إِلَيۡهِمۡ قَالَ أَلَا تَأۡكُلُونَ ٢٧﴾ [الذاريات: ٢٤، ٢٧]

“তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে? যখন তারা তার কাছে আসল এবং বলল, ‘সালাম’, উত্তরে সেও বলল, ‘সালাম’। এরা তো অপরিচিত লোক। অতঃপর সে দ্রুত চুপিসারে নিজ পরিবারবর্গের কাছে গেল এবং একটি মোটা-তাজা গো-বাছুর (ভাজি করে) নিয়ে আসল। অতঃপর সে তা তাদের সামনে পেশ করল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না”? [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ২৪-২৭]

ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সর্বপ্রথম মেহমানদারির নিয়ম চালু করেন। যেমন, হাদীসে এসেছে:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«كَانَ أَوَّلَ مَنْ ضَيَّفَ الضَّيْفَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ»

“সর্বপ্রথম মেহমানদারির প্রচলন করেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম”।[1]

লুত আলাইহিস সালাম তার মেহমানদের সম্মান রক্ষার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলেন,

﴿ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُخۡزُونِ فِي ضَيۡفِيٓۖ أَلَيۡسَ مِنكُمۡ رَجُلٞ رَّشِيدٞ ٧٨ [هود: ٧٨]

“সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের ব্যাপারে তোমরা আমাকে অপমানিত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কোনো সুবোধ ব্যক্তি নেই”?।মেহমানের সম্মান রক্ষা করাও মেহমানদারির অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যাপারেও অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে আমাদের দ্বারা মেহমানরা কোনো প্রকার অপমান অপদস্থ ও লাঞ্ছনার স্বীকার না হয়।

>
[1] ইবন আবিদ দুনিয়ার মেহমানের মেহমানদারি: হাদীস নং ৫; মুয়াত্তা ইমাম মালেক সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব থেকে: ৯২২/২; বাইহাকি শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং ৯১৭০।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে