(ক) আল্লাহ্র কাছে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিৎ।
(খ) সেই কুমন্ত্রণাকে মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিৎ এবং
(গ) ‘আমানতু বিল্লাহ’ অথবা ‘আমানতু বিল্লাহি আরুসুলিহ’ বলা উচিৎ। ৫৯
না। এ উদ্দেশ্যে বাঘের ছাল বা মাথা (মাথা বা তামার কোন জিনিস, মাদুলি বা অন্য কিছু) ব্যবহার করা বৈধ নয়। ৬০ বরং শরয়ী দু'আ যীকর পড়া উচিৎ। শিশুকে দু'আ-তাবীয নয়, বরং নির্দিষ্ট দু'আ পড়ে দু’আর তাবীয দেওয়া উচিৎ। আর তা হল এই,
‘আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্র পরিপূর্ণ বানীসমূহের আসীলায় প্র্যত্যেক শয়তান ও কষ্টদায়ক জন্তু হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকারক (বদ) নজর হতে আল্লাহ্র পানাহ চাচ্ছি। ৬১
৬১ (বুখারী)
শয়তান প্রকৃতির জীনকে তুষ্ট করে বশ করা যায়। ৬২
জিন-ইনসানের মিলন অসম্ভব নয়। ৬৩ (ইবনে জিবরীন)
না। কোন মৃতের ‘রূহ’ হাযির করা যায় না। তবে তুষ্ট করে শয়তান জীন হাযির করা যায়। ৬৪
হাদীসে বর্ণিত আছে, খাযরাজের সর্দার সা’দ বিন উবাদাহ (রঃ) জীন কতৃক খুন হয়েছিলেন। ৬৫ মাদ্বীনায় এক সাহাবীকে এক জীন সাপের আকৃতি নিয়ে হত্যা করেছিলেন। ৬৬ অনুরূপ উমার (রঃ)-এর খেলাফতকালে একজন মুসলিম মুশারিক জীন কতৃক অপহৃত হয়। পরিশেষে মুসলিম জিনেরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে তাঁকে মুক্ত করে আনে। ৬৭
৬৬ ( মুসলিম, মিশকাত ৪১১৮ নং)
৬৭ (ইবনে জিবরীন)
তা করতে গেলে হয়তো বিরোধী জীন তাঁকে বাঁধা দেবে। মানুষের যেমন বন্ধু ও শত্রু আছে, তেমন তাঁদেরও আছে। আর মানুষের উপকার করতে গিয়ে জীনদের আপোশের গৃহযুদ্ধ বাধবে, যেমন উমার (রঃ) –এর খিলাফতকালে ঘটেছিল।
হতে পারে। তবে এই শ্রেণীর মানসিক অনেক রোগ কোন ডাক্তারের কাছেও ভাল হয় না। বলা বাহুল্য এই শ্রেণীর রোগ হিস্টিরিয়া হতে পারে, যাদু-ঘটিত হতে পারে, জীন পাওয়া হতে পারে, পরিকল্পিত অভিনয়ও হতে পারে। যার যেমন রোগ, তাঁর তেমন ঔষধ না পড়লে সারবে কেন?
যে ব্যক্তি জিনের অস্তিত্বই অস্বীকার করে, সে ব্যক্তি কাফের। কারণ কিতাব ও সুন্নাহতে তাদের অস্তিত্ব ও জীবনের কথা আলোচিত হয়েছে। অদৃশ্য জগৎ ফিরিশতার প্রতি ঈমান যেমন জরুরী, তেমনি জীন জাতির অস্তিত্বের বিশ্বাসও জরুরী।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় সে নিজে এবং তাঁর দলবল তোমাদেরকে এমন স্থান হতে দেখে থাকে যে, তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না।’ (আ’রাফঃ ২৭)
আল্লাহ্র দেওয়া শাস্তিতে অসম্ভব কিছু নেই। মহান আল্লাহ জীনদের কথা উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘অপরপক্ষে সিমালঙ্ঘনকারীরা তো জাহান্নামেরই ইন্ধন।’(জীনঃ ১৫) আর বিদিত যে, দুনিয়ার আগুনের চাইতে জাহান্নামের আগুনের তেজ সত্তর গুণ বেশি। অবশ্য এমনও হতে পারে যে, তাদেরকে আযাব দেওয়ার জন্য পৃথক আগুন প্রস্তুত আছে। যেহেতু পরকালের বিষয়াবলী ইহকালের বিষয়াবলী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৬৮ মানুষ মাটি থেকে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও যদি মাটির (ঢেলা ইত্যাদির) আঘাতে কষ্ট পায়, তাহলে জীন আগুন থেকে তৈরি হওয়া সত্বেও তাদের আগুন দ্বারা কষ্ট পাওয়া কোন বিচিত্র কথা নয়।