পুরুষদের জন্য পরিহিত বস্ত্রপায়ের গাঁটের নিচে ঝুলান হারাম, তাতে অহংকারের উদ্দেশ্য হোক অথবা অহংকারের উদ্দেশ্যে না হোক। তবে যদি তা অহংকারের প্রকাশের উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে তার শাস্তি অধিকতর কঠিন ও বড়। যেহেতু সহীহ মুসলিমের আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে নবী (সঃ)বলেন, “তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না, তাঁদের প্রতি তাকাবেন না, তাঁদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাঁদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হবে।” আবূ যার (রাঃ) বলেন, ‘তারা কারা? হে আল্লাহ্র রাসুল! তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’ তিনি বললেন, “গাঁটের নিচে যে কাপড় ঝুলায়, কিছু দান করে ‘দিয়েছি’ বলে অনুগ্রহ প্রকাশকারী এবং মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্যদ্রব্য বিক্রেতা।” (মুসলিম ১০৬ নং ও আসহাবুস সুনান)
এই হাদিসটি অনির্দিষ্ট। কিন্তু তা ইবনে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীস দ্বারা নির্দিষ্ট, যাতে নবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি অহংকারে তার কাপড় (মাটিতে) ছেঁচড়ায় তার দিকে আল্লাহ তাকিয়ে দেখবেন না” (বুখারী ৫৭৮৪ নং, মুসলিম ২০৮৫ নং)সুতরাং আবূ যারের হাদীসে অনির্দিষ্ট উক্তি ইবনে উমারের হাদীস দ্বারা নির্দিষ্ট হবে। যদি অহংকার সহ কাপড় লটকায়, তাহলে আল্লাহ তার প্রতি দেখাবেন না, তাঁকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য হবে কষ্টদায়ক আযাব। আর এই শাস্তি সেই শাস্তি অপেক্ষাও বৃহত্তর, যে শাস্তি নিরহংকারের সাথে গাঁটের নিচে লুঙ্গি নামিয়ে থাকে এমন ব্যক্তির হবে; যে ব্যক্তি প্রসঙ্গে নবী (সঃ) বলেন, “গাঁটের নিচের লুঙ্গি জাহান্নামে।” (বুখারী ৫৭৮৭ নং ও আহমাদ ২/৪১০) অতএব শাস্তি যখন পৃথক পৃথক হল, তখন অনির্দিষ্টকে নির্দিষ্টের উপর আরোপ করা অসঙ্গত হবে। কারণ অনির্দিষ্টকে নির্দিষ্টের উপর আরোপ করার নিয়মে শর্ত এই যে, উভয় দলীলের নির্দেশ অভিন্ন হবে। কিন্তু যদি নির্দেশ ভিন্ন হয়, তবে এককে অপরের সাথে নির্দিষ্ট করা যাবে না। এই জন্যই তায়াম্মুমের আয়াতকে যাতে আল্লাহ বলেন, “তা তোমাদের মুখে ও হাতে বুলাবে।” ওযুর আয়াত দ্বারা নির্দিষ্ট করি না, যাতে আল্লাহ বলেন, “তা তোমাদের মুখে ও হাতে বুলাবে।” ওযুর আয়াত দ্বারা নির্দিষ্ট করি না, যাতে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে।”(সূরা মায়েদাহ ৬ আয়াত) সুতরাং তায়াম্মুম(মাসাহ করা) হাতের কনুই পর্যন্ত হবে না। (যদিও ওযুতে হাতের কনুই পর্যন্ত ধুতে হয়।)
ইমাম মালেক প্রভৃতিগন যা আবু সাঈদ খুদরী (রঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তা এই কথার প্রতিই নির্দেশ করে। যাতে নবী (সঃ) বলেন, “মুমিনদের লুঙ্গি তার অর্ধ পদনালী (হাঁটু হতে গড়ালি পর্যন্ত পায়ের অংশ বা ঠ্যাং)পর্যন্ত। আর গাঁটের নিচে যা হবে তা দোযখে হবে। আর যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে তার পরিহিত লেবাস (লুঙ্গি, প্যান্ট, পায়জামা, ধুতি, কামীস ইত্যাদি)মাটির উপর ছেঁচড়ে নিয়ে বেড়ায় তার প্রতি আল্লাহ (তাকিয়েও) দেখবেন না।” অতএব নবী (সঃ) একই হাদীসে দু’টি উদাহরণ পেশ করেন এবং উভয়ের শাস্তি পৃথক হওয়ার কারণে উভয়ে নির্দেশের ভিন্নতাও বিবৃত করেন। সুতরাং উক্ত দুইজন কর্মে ভিন্ন, নির্দেশে ভিন্ন এবং শাস্তিতেও পৃথক। এই থেকে তাঁদের ভুল স্পষ্ট হয়, যারা তার উক্ত(গাঁটের নিচে যা তা দোযখে)কে (যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে তার কাপড় ছেঁচড়ে বেড়ায় তার প্রতি আল্লাহ তাকাবেন না।) এই উক্তি দ্বারা নির্দিষ্ট করে।
আবার কতক মানুষ কাছে যাদেরকে গাঁটের নিচে লুঙ্গি বা প্যান্ট ঝুলতে নিষেধ করলে বলে, “আমি অহংকারের উদ্দেশ্যে ঝুলাইনি তো।”
কিন্তু আমরা তাঁদেরকে বলি যে, গাঁটের নিচে কাপড় ঝুলানো দুই প্রকার; প্রথম প্রকার – যার শাস্তি, মানুষকে কেবল সেই স্থানে আযাব দেওয়া হবে, যে স্থানে সে (শরীয়তের) অন্যথাচরণ ও অবাধ্যতা করে এবং তা হচ্ছে গাঁটের নিচের অংশ, যার উপর নিরহংকারে কাপড় ঝুলায়। অতএব এ ব্যক্তিকে কেবল অবাধ্যতার অঙ্গে শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ যাতে অবাধ্যতা বা অন্যথাচরণ করছে, কেবল তার বদলায় তাঁকে জাহান্নাম আযাব দেওয়া হবে, আর তা হচ্ছে যা গাঁটের নিচে নামে। কিন্তু এই অবাধ্যাচারীর এই শাস্তি হবে না যে, তার প্রতি আল্লাহ তাকাবেন না এবং তাকে পবিত্র করবেন না। (কারণ, তার অহংকার নেই।) আর দ্বিতীয় প্রকার শাস্তি; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন না, তার প্রতি তাকাবেন না, তাঁকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হবে। আর এটা তার জন্য হবে, যে তার পরিহিত বস্ত্রকে পায়ের গাঁটের নিচে অহংকারের সাথে মাটিতে ছেঁচড়ে নিয়ে বেড়ায়। এরূপই তাঁকে বলি। (ইবনে উষাইমীন)
মহিলাদের দেহে তিন প্রকার লোম আছে।
(ক) যা তুলে ফেলা ওয়াজেব। যেমন বগল ও গুপ্তাঙ্গের লোম।
(খ) যা তুলে ফেলা হারাম। যেমন ভ্রুর লোম।
(গ) যে লোম তোলার ব্যাপারে কোন আদেশ নিষেধ নেই, তা তুলে ফেলা বৈধ। যেমন পিঠ বা পায়ের লোম। অনুরূপ চেহারার পুরুষের মতো দাড়ি গোঁফের অস্বাভাবিক লোম।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহ্র অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যার দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যার উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রু চেঁছে সরু করে, যার সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।” জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তাঁর (ইবনে মাসঊদের) প্রতিবাদ করলে তিনি বললেন, “আমি কি তাঁকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহ্র রাসুল (ﷺ) অভিসম্পাত করেছেন এবং আল্লাহ্র কিতাবে আছে?” আল্লাহ বলেছেন, “রাসুল (ﷺ) যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা হাশর ৭ আয়াত)
পুরুষের জন্য সোনার চেন, ঘড়ি, আংটি, বোতাম, কলম ইত্যাদি ব্যবহার বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেন, “সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে।” (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত ৪৩৪১ নং)
ইবনে আব্বাস (রঃ) হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তিনি তাঁর হাত থেকে তা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, “তোমাদের কেউ কি ইচ্ছাকৃত দোযখের আঙ্গারকে হাতে নিয়ে ব্যবহার করে?”
অতঃপর নবী (সঃ) চলে গেলে লোকটিকে বলা হল, ‘’তোমার আংটিটা কুড়িয়ে নিয়ে অন্য কাজে লাগাও। (অথবা তা বিক্রয় করে মূল্যটা কাজে লাগাও।) কিন্তু লোকটি বলল, “আল্লাহ্র কসম! আমি আর কক্ষনো তা গ্রহণ করব না, যা আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।” (মুসলিম ২০৯০ নং)
প্রকাশ থাকে যে, ব্যতিক্রমভাবে পুরুষের জন্য সোনার নাক বাঁধার অনুমতি রয়েছে ইসলামে। সাহাবী আরফাজার নাক কাটা গেলে নবী (সঃ) তাঁকে সোনার নাক বানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। (আহমাদ ১৮৫২৭, আবূ দাঊদ ৪২৩২, তিরমিযী ১৭৭০, নাসাঈ ৫১৬১ নং)
প্রয়োজনে সোনার তাঁর দিয়ে দাঁত বাঁধতে অথবা সোনার দাঁত বাঁধিয়ে ব্যবহার করাতেও অনুমতি আছে শরীয়তে।
পক্ষান্তরে চার আনা সোনার আংটি ব্যবহারের বৈধতা শরীয়তে নেই। বিপদ প্রয়োজনে যে কোন স্বর্ণটুকরা হাতে না রেখে সাথেও তো রাখা যায়।
প্রকাশ থাকে যে, সোনা দিয়ে পালিশ করা জিনিসেও যেহেতু সোনা থাকে, সেহেতু টা পুরুষের জন্য ব্যবহার বৈধ নয়। (ইবনে জিবরীন)
যে অলংকার সাধারণতঃ মহিলাদের, তা পুরুষদের পরা বৈধ নয়। গলার চেন, কানের দুল, হাতে বালা ইত্যাদি পুরুষরা পরতে পারে না। কারণ তাতে মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়। যেমন মহিলারা পুরুষদের মতো প্যান্ট শার্ট পরতে পারে না। কারণ তাতে পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়। আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষদেরকে অভিশাপ করেছেন।’ (বুখারী)
আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) সেই পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন, ‘যে মহিলার পোশাক পরে এবং সেই মহিলাকে অভিসম্পাত করেছেন যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে।’ (আবূ দাঊদ)
পাকা চুল দাড়ি সাদা না রেখে রাঙিয়ে রাখা তাকীদাপ্রাপ্ত সুন্নত। তবে তাতে কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ নয়। জাবের (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিনে আবু কুহাফাকে আনা হল। তখন তাঁর চুল দাড়ি ছিল ‘ষাগামা’ ফুলের মত সাফেদ (সাদা)। নবী (সঃ) বললেন, ‘কোন রঙ দিয়ে এই সাফেদিকে বদলে ফেল। আর কালো রঙ থেকে ওকে দূরে রাখ।’ (মুসলিম, মিশকাত ৪৪২৪ নং)
আর সকলের উদ্দেশ্যে সাধারণ নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ্র রাসূল (সঃ) বলেন, “শেষ যামানায় এমন এক শ্রেণীর লোক হবে; যার পায়রার ছাতির মত কালো কলপ ব্যবহার করবে, তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না।” (আবূ দাউদ ৪২১২, নাসাঈ, সহীহুল জামে ৮১৫৩ নং)
শাড়ি যদি সারা দেহকে ঢেকে নেয়, তাহলে বৈধ। বলা বাহুল্য, পেট-পিঠ বের করে রেখে অথবা পাতলা শাড়ি পরা বৈধ নয়। অনুরূপ এমন লেবাসও বৈধ নয় যাতে নারী দেহের কোনও সৌন্দর্য প্রকাশ প্রকাশ পায়। যে নারীরা এমন শাড়ি বা লেবাস পরে, তারা সেই নারীদলের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের ব্যাপারে আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) বলেছেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামবাসী হবে, যাঁদেরকে এখনো আমি দেখিনি। তন্মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী হল সেই মহিলা দল, যারা কাপড় পরা সত্বেও যেন উলঙ্গ থাকবে, (যারা পাতলা অথবা খোলা লেবাস পরিধান করবে।) এরা (পর পুরুষকে নিজের প্রতি) আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও (তাঁর প্রতি) আকৃষ্ট হবে; তাঁদের মাথা হবে হিলে যাওয়া উটের কুজের মত। তারা জান্নাত প্রবেশ করবে না এবং তাঁর সুগন্ধও পাবে না। অথচ তারা এত এত দূরবর্তী স্থান হতে পাওয়া যাবে।” (মুসলিম ২১২৮ নং)
বৈধ নয়। কারণ ‘আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যারা উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রু চেঁছে সরু করে, যারা সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আলাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।’ (বুখারী, মুসলিম)
হাতের নখ কেটে ফেলা প্রকৃতিগত সুন্নত। নবী (সঃ)বলেছন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের তারীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ,
(১) খাতনা (লিঙ্গাত্বক ছেদন )করা।
(২) লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা।
(৩) নখ কাটা।
(৪) বগলের লোম ছিঁড়া।
(৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।” (বুখারী, মুসলিম)
আনাস (রঃ) বলেন, “মোছ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভির নিচের লোম চাঁছা এবং বোগলের লোম তুলে ফেলার ব্যাপারে আমাদেরকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে; যাতে আমরা সে সব চল্লিশ দিনের বেশী ছেড়ে না রাখি।” (মুসলিম ২৫৮ নং)
তাছাড়া তাতে রয়েছে জন্তু-জানোয়ার ও কিছু কাফের মহিলাদের অনুকরণ ও সাদৃশ্য অবলম্বন, যা মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। (ইবনে বায)
নখে নখ পালিশ লাগানো বৈধ। তবে উযু-গোসলের আগে তা তুলে ফেলতে হবে। নচেৎ উযু গোসল শুদ্ধ হবে না। অবশ্য যে রঙ পানি আটকায় না, সে (আলতা বা মেহেন্দি জাতীয়) রঙ ব্যবহার করা যায়।
কয়েকটি কারণে বৈধ নয়ঃ
(ক) অপ্রয়োজনে তাতে অর্থের অপচয় হয়।
(খ) পুরুষ কর্মচারীর স্পর্শ নিতে হয়।
(গ) অপরের সামনে লজ্জাস্থান খুলতে হয়।
(ঘ) সৌন্দর্যে অনেক ক্ষেত্রে কাফের মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়।
(ঙ) অনেক সময় গুপ্ত ক্যামেরায় মহিলার নগ্ন ছবি ধরে রাখা ও নেটে প্রচার করা হয়।