যে প্রাণী মানুষের জন্য ক্ষতিকর, তা মেরে ফেলা বৈধ। তবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নয়। যেহেতু “আগুনের মালিক (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আর কারও জন্য সঙ্গত নয়।” (আবু দাউদ)
প্রয়োজনের ভিত্তিতে দাগ করে চিহ্ন দেওয়া জায়েজ। মহানবী (সঃ) সদকার উটের দেহে এমন চিহ্ন দিয়েছেন। (বুখারি ১৫০২, মুসলিম ২১১৯ নং) তিনি ছাগলের কানেও দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। (বুখারি ৫৫৪২, মুসলিম ২১১৯, আহমাদ ১২৩৩৯, ইবনে মাজাহ ৩৫৬৫ নং) তিনি হজ্জের উটের কুজে দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। (বুখারি ১৬৯৪, ১৬৯৫ নং) তবে চেহারায় দাগা বা দাগ দেওয়া নিষেধ। (মুসলিম ২১১৭ নং)
যদি পাখিকে ঠিকমত পানাহার দেওয়া হয় এবং কোন প্রকার কষ্ট না দেওয়া হয়, তাহলে বৈধ। (ইবনে বাজ)
পাশ্চাত্য সভ্যতায় প্রভাবান্বিত হয়ে শখের বসে বাড়িতে কুকুর পোষা বৈধ নয়। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না। সে ঘরে কুকুর থাকে এবং সে ঘরেও নয়, যে ঘরে ছবি বা মূর্তি থাকে।” (বুখারি ও মুসলিম)
“যে ব্যক্তি এমন কুকুর পোষে, যা শিকারের জন্য নয়, পশু রক্ষার জন্য নয় এবং ক্ষেত পাহারার জন্যও নয়, সে ব্যক্তির নেকি থেকে প্রত্যেক দিন (এক অথবা) দুই কিরাত পরিমাণ সওয়াব কমে যায়।” বুখারি- মুসলিম)
বলা বাহুল্য, শিকারের জন্য, পাহারার জন্য অথবা অপরাধী ধরার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে কুকুর পোষা বৈধ। (ইবনে উসাইমিন)