ক্রিসমাস ডে অথবা অন্য কোন ওদের ধর্মীয় পর্ব ও খুশিতে কাফেরদের মুবারকবাদ দেওয়া সর্ববাদী সম্মতিক্রমে অবৈধ। যেমন ইবনুল কাইয়েম রাহিমাহুল্লাহ তার গ্রন্থ ‘আহকা-মু আহলিয জিম্মাহ’ তে নকল করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশিষ্ট কুফুরের প্রতীক ও নিদর্শনের ক্ষেত্রে মুবারকবাদ পেশ করা যথা সম্মতি ক্রমে হারাম। যেমন ওদের ঈদ অথবা ব্রত উপলক্ষে মুবারকবাদ দিয়ে বলা, ‘তোমার জন্য ঈদ মুবারক হোক’, অথবা ‘এই খুশিতে শুভাশিস গ্রহণ কর’ ইত্যাদি। এ কাজে যদি ও সম্ভাষণ দাতা কুফুর থেকে বেঁচে যায়, তবুও তা হারামের অন্তর্ভুক্ত। আর এটা ওদের ক্রুশ কে সিজদা করার উপলক্ষ্যে মুবারকবাদ দেওয়ার অনুরূপ। বরং এটা আল্লাহর নিকট গোনাহ গযবের দিক থেকে মদ্য পান, খুন, ব্যাভিচার ইত্যাদির উপর মুবারকবাদ দেওয়ার চেয়ে অধিক বড় ও বেশী। বহু মানুষই যাদের নিকট দ্বীনের কোন কদর নেই, তারা উক্ত পাপে পতিত হয়ে থাকে। কৃতকর্মের কুফলকে জানতে পারে না। উপরন্ত কোন মানুষকে পাপ, বিদআত অথবা কুফুরের উপর মুবারকবাদ জানিয়ে থাকে, যখন সে নিশ্চিত ভাবে আল্লাহর ক্রোধে ও অসন্তোষটির শিকার হয়ে যায়। (ইবনুল কাইয়েমের উক্তি সমাপ্ত)
কাফেরদের ধর্মীয় ঈদ পর্বে তাদেরকে মুবারকবাদ দেওয়া এই লক্ষ্যেই হারাম, যা ইবনুল কাইয়েম উল্লেখ করেছেন। যেহেতু তাতে কুফরি প্রতীকের উপর কাফেরদের প্রতিষ্ঠিত থাকাকে স্বীকার ও সমর্থন করা হয় এবং তাদের জন্য তাতে সম্মতি প্রকাশ করা হয়। যদিও সে এই কুফরি নিজের জন্য পছন্দ করে না, কিন্তু তবুও মুসলিমের জন্য কুফরির প্রতীকে সম্মতি প্রকাশ অথবা তার উপর কাউকে মুবারকবাদ জানানো বৈধ নয়। কারণ আল্লাহ তায়ালা ওতে সম্মত নন। যেমন তিনি বলেন,
“তোমরা কাফের জলে জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তাঁর দাসদের জন্য কুফরি পছন্দ করেন না। যদি তোমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও, তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তা পছন্দ করেন।” (সুরা জুমার ৭ আয়াত)
তিনি আর বলেন,
“আজ আমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন রূপে মনোনীত করলাম।” (সূরা মাইদাহ ৩ আয়াত)
সুতরাং কুফুরির উপর ওদেরকে শুভাশিস ও সাদর সম্ভাষণ জ্ঞাপন হারাম --- চাহে তারা ঐ ব্যক্তির কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী বা সঙ্গী হোক, চাহে না হোক।
যখন ওরা ওদের ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদেরকে মুবারকবাদ জানায়, তখনও আমরা তাদেরকে প্রত্যুত্তরে অভিবাদন জানাতে পারি না। যেহেতু তা আমাদের ঈদ নয়। আল্লাহ তায়ালা এমন ঈদ পছন্দ করেন না। কারণ, তা ওদের ধর্মে অভিনব রচিত কর্ম। অথবা বিধিসম্মত কিন্তু তা দ্বীন ইসলাম দ্বারা রহিত হওয়ে গেছে, যা দ্বীন সহ মুহাম্মদ (সঃ) কে আল্লাহ তায়ালা সমগ্র সৃষ্টির প্রতি প্রেরণ করেছেন। যে দ্বীন সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,
“যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম চাইলে তা কখনো তাঁর নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরলোকে ক্ষতিগ্রস্ত দের দলভুক্ত হবে।” (আ-লে ইমরানঃ ৮৫)
এই উপলক্ষে মুসলিমদের জন্য তাদের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করাও হারাম। যেহেতু দাওয়াত গ্রহণ মুবারকবাদ জ্ঞাপন অপেক্ষা নিকৃষ্টতর। কারণ এতে ওদের ঈদে অংশগ্রহণ করা হয়ে যায়।
তদনুরূপ মুসলমানদের জন্য এই উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে, পরস্পরকে উপঢৌকন প্রদান করে, মিষ্টান্ন বিতরণ করে, বিভিন্ন প্রকার খাদ্য বণ্ঠন করে অথবা কর্মক্ষেত্রে ছুটি ঘোষণা করে কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা বৈধ নয়। কারণ নবী (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাদেরই দলভুক্ত।” (আবু দাউদ)
সায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ তাঁর গ্রন্থ ‘ইকতিযা-উস সিরাত্বিল মুস্তাকিম, মুখা- লাফাতু আসহা -বিল জাহিম’ এ বলেন, ‘তাদের কিছু ঈদ পর্বে তাদের সাদৃশ্য অবলম্বনে, তারা যে বাতিল অবিচলিত, তাতে তাদের অন্তর খুশিতে ভরে উঠার কারণ হবে এবং সম্ভবতঃ এই অনুরুপ্য তাদের সুযোগের সৎব্যবহার করতে ও দুর্বলদেরকে অধীনস্থ করতে সহায়তা করবে।’
যে ব্যক্তি উপর্যুক্ত কিছু করে ফেলেছে সে গোনাহগার হবে। চাহে সে তা শিষ্টাচারিতা, বন্ধুত্ব, চক্ষুলজ্জা বা অন্য কিছুর খাতিরে করুক না কেন। যেহেতু এমন করা আল্লাহর দ্বীনে তোষামোদ করা, কাফেরদের আত্মা মনকে সবল করে তোলা এবং তাদের ধর্ম নিয়ে গর্ব করার উপকরণের অন্তর্ভুক্ত। (ইবনে উসাইমিন)
অমুসলিমদের প্রথমে সালাম দেওয়া হারাম, বৈধ নয়। যেহেতু ‘সালাম’ কেবল ইসলাম ওয়ালাদের অভিবাদন। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ইয়াহুদি ও নাসাদেরকে প্রথমে সালাম দিও না। ওদের সাথে পথে দেখা হলে সংকীর্ণতার প্রতি বাধ্য কর।” কিন্তু ওরা যদি তোমাদেরকে প্রথমে সালাম দেয়, তাহলে তাঁর উত্তর দেওয়া আমাদের জন্য ওয়াজেব হবে। যেহেতু সাধারণভাবেই আল্লাহ বলেন,
“আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে।” (সূরা নিশা)
ইয়াহুদিরা মহানবী (সঃ) কে সালাম দিত, বলত, ‘আসসা-মু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ!’ (তোমার উপর মৃত্যু বর্ষণ হোক, হে মুহাম্মদ!)” ‘আসসা-মু এর অর্থ মৃত্যু। তারা রাসুল (সঃ) কে মৃত্যুর বদদুয়া দিতেন। তাই নবী (সঃ) বললেন, “ইয়াহুদিরা বলে, ‘আসসা-মু আলাইকুম।’ সুতরাং ওরা যখন তোমাদেরকে সালাম দেবে, তখন তোমরা তাঁর উত্তরে বল, ‘আ আলাইকুম।”
অতএব যখন কোন অমুসলিম কোন মুসলিমকে সালাম দিয়ে বলে, ‘আসসা-মু আলাইকুম,’ তখন আমরা তাঁর উত্তরে বলব, ‘আ আলাইকুম’। উপরোক্ত তাঁর উক্তি ‘আ আলাইকুম’ এই কথার দলিল যে, যদি ওরা ‘তোমাদের উপর সালাম’ বলে, তাহলে তাদের উপরেও সালাম। সুতরাং ওরা যেমন বলবে, আমরাও ওদেরকে তেমনই বলব। এই জন্য কতক উলামা বলেছেন যে, ইয়াহুদি, খ্রিস্টান বা অন্য কোন অমুসলিম যখন স্পষ্ট শব্দে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলবে, তখন তোমাদের জন্য ‘ও আলাইকুম সালাম’ বলে উত্তর দেওয়া বৈধ।
অনুরূপ ভাবে অমুসলিমদেরকে প্রথমে স্বাগত জানানো, যেমন ‘আহলান অসাহালান (স্বাগতম, খোশ আমদেদ, ওয়েলকাম প্রভৃতি) বলা বৈধ নয়। যেহেতু এতে তাদের সন্মান ও তা’যীম অভিব্যক্ত হয়। কিন্তু ওরা যখন প্রথমে তোমাদেরকে ঐ বলে স্বাগত জানাবে, তখন আমরাও তাদের অনুরূপ বলে উত্তর দেব। যেহেতু ইসলাম ন্যায়পরায়ণতা এনেছে এবং প্রত্যেক অধিকারীকে তাঁর অধিকার দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর এ কথা বিদিত যে, আল্লাহ আযযা অ জাল্লার নিকটে মুসলমানরাই সন্মান ও মর্যাদার দিক দিয়ে সবচাইতে বড়। তাই প্রথমে অমুসলিমদেরকে সালাম দিয়ে নিজেদেরকে অপদস্থ করা উচিৎ নয়। অতএব উত্তরের সারমর্মে বলি যে, অমুসলিমদেরকে প্রথমে সালাম দেওয়া বৈধ নয়। যেহেতু নবী (সঃ) এ থেকে নিষেধ করেছেন এবং যেহেতু এতে মুসলমানদের জন্য লাঞ্ছনা আছে। কারণ সে এতে অমুসলিমকে তা’জিম ও সন্মান প্রদর্শন করে। অথচ আল্লাহর নিকট মুসলিমই সন্মানের দিক থেকে অধিক উঁচু। তাই এতে নিজেকে অপমানিত করা উচিৎ নয়। পক্ষান্তরে যখন ওরা আমাদেরকে সালাম দেবে, তখন আমরা তাদের অনুরূপ সালামের উত্তর দেব। তদনুরূপ প্রথমে স্বগত জানানোও বৈধ নয়। যেমন, ‘আহলান অসাহলান, মারহাবা’ ইত্যাদি। কেননা এতে ওদেরকে তা’জিম প্রদর্শন করা হয়। যা ওদেরকে প্রথমে সালাম দেওয়ারই অনুরূপ। (ইবনে উসাইমিন)
এ ক্ষেত্রে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ‘আস সালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম দিতে হবে। প্রশ্নে উক্ত বাক্য অমুসলিমদেরকে চিঠি লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। (ইবনে উসাইমিন)
কেউ কেউ বলেছেন, অমুসলিমদের কে সালাম দিতে ‘আস সালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বা ‘আসসালামু আলাইনা অয়ালা ইবাদিল্লাহিস শ্বালিহিন ও ব্যবহার করা যায়।
কাফেরদের বাহ্যিক বেশভূষা, পোশাক পরিচ্ছদ, চাল চলন ও পানাহারে যে কোন ধরনের সাদৃশ্য গ্রহণে দোষ আছে। যেহেতু শরীয়তের নির্দেশ এ ব্যাপক। নবী (সঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই দলভুক্ত।” ( আবু দাউদ, ত্বাবারানীর আউসাত্ব , সহিহুল জামে ৬১৪৯ নং)
অবশ্য লক্ষণীয় যে, যে জিনিস বিজাতির প্রতীক, যে জিনিস দেখলে তাদেরকে বিজাতি বলে সহজে চিহ্নিত করা যায়, কেবল সেই জিনিসেই সাদৃশ্য অবলম্বন নিষেধ। তাছাড়া যে জিনিস মুসলিম অমুসলিম এর মাঝে কোন পার্থক্য নির্ধারণ করে না, বরং সকলের মাঝে ব্যাপক, তাতে সাদৃশ্য অবলম্বন প্রশ্নই থাকে না। যদিও সে জিনিস মুলতঃ কাফেরদের নিকট থেকে আগত সভ্যতা কিন্তু ইসলামে তা হারাম নয় এবং জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্ব সাধারণের মাঝে প্রচলিত হয়ে গেছে। (ইবনে উসাইমিন)
বর্তমানে মেয়েদের সিঁদুর ও ছেলেদের টাই ব্যবহারে সাদৃশ্য গ্রহণের দোষ আছে। কিন্তু মেয়েদের শাড়ী ও ছেলেদের প্যান্ট ব্যবহারে সেই দোষ নেই। যদিও তা মুসলিমদের পোশাক নয়।
আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে, বিজাতির অনুকরণ ও সাদৃশ্য অবলম্বন ৩ শ্রেণির কর্ম হতে পারে। প্রথমঃ ইবাদতে বা দ্বীনী বিষয়ে। দ্বিতীয়তঃ আচার আচরণে। তৃতীয়ঃ পার্থিব আবিষ্কার ও শিল্প বিষয়ে।
ইবাদতে বিজাতির অনুকরণ করা কোন ক্রমেই বৈধ নয়। কার তাতে অনেক সময় মুসলিম ইসলাম থেকে খারিজ ও হয়ে যেতে পারে।
আচার আচরণ ও লেবাস পোশাকেও বিজাতির অনুকরণ বৈধ নয়। কারণ তাতে তাদের প্রতি মুগ্ধতা ও আন্তরিক আকর্ষণ প্রকাশ পায়।
আবিষ্কার ও শিল্প ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করে পার্থিব উন্নয়ন সাধন করা দোষাবহ নয়। এ অনুকরণ নিষিদ্ধ অনুকরণের পর্যায়ভুক্ত নয়।
যদি পানাহারের জিনিস ইসলামে ‘হারাম’ না হয় এবং তা বৈধ পাত্রে পেশ করা হয়, তাহলে বৈধ। ইসলামের দিকে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিমের খাওয়া এবং খাওয়ানো দোষের নয়। অবশ্য তাদের কোন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্রয়ক্রীত বা প্রস্তুতকৃত কোন খাবার --- তা মুলতঃ ‘হালাল’ হলেও খাওয়া বৈধ নয়।
হালাল খাদ্য দিয়ে ইফতারি করালে এবং সেখানে কোন আপত্তিকর জিনিস (গান-বাজনা, ছবি ইত্যাদি) না থাকলে তা খেয়ে ইফতারি করা বৈধ।
তবে যেন তা কেবল বন্ধুত্বের খাতিরে না হয়। বরং তাতে যেন তাকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার নিয়ত থাকে, ইসলামী শিষ্টাচার প্রকাশের মাধ্যমে ইসলামকে উচ্চ করার উদ্দেশ্য থাকে,
মহান আল্লাহ বলেছেন,
“ দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় পরায়ণদেরকে ভালোবাসেন।।” (মুমতাহিনাহঃ ৮)
আসল আরবি কুরআন অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করা বৈধ নয়। অনূদিত কুরআন বা কুরআনী আয়াত সম্বলিত কোন বই পুস্তক অপবিত্র অবস্থায় পড়া অবৈধ নয়। সুতরাং অমুসলিমকে তা দিতে বাধা নেই। (লাজনাহে দায়েমাহ)
স্থান পবিত্র হলে এবং সামনে মূর্তি ইত্যাদি না থাকলে নামাজ শুদ্ধ। (লাজনাহে দায়েমাহ)
ইয়াহুদি খ্রিস্টানদের সতী মহিলা হলে তাকে মুসলিম না বানিয়ে হলেও যথা নিয়মে বিবাহ করা চলবে। অন্য কোন ধর্মের মহিলা হলে তাকে মুসলমান না বানিয়ে বিবাহ করা বৈধ নয়। পক্ষান্তরে মুসলমান না বানিয়ে কোন বিধর্মী পুরুষের সাথে মুসলিম মহিলার বিবাহ বৈধ নয়। বৈধ নয় বিধর্মী স্বামীর সাথে সংসার করা, যদিও সে নিজে মুসলিম হিসাবে জীবন যাপন করে বলে দাবি করে। কেউ করলে আজীবন ব্যভিচার করা হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে মুসলিম অমুসলিম বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করা জরুরী নয়। জরুরী নয় একের অন্যের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা। যে উদারতায় ইমান নষ্ট হয়ে যায়, সে উদারতা কিসের উপকারী? আর ভালবাসার কথা? মহান আল্লাহ বলেন,
“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায় পাবে না, যারা ভালবাসে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধাচারিকে। হোক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জাতি-গোত্র। তাদের অন্তরে আল্লাহ ইমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তার পক্ষ হতে রূহ (জ্যোতি ও বিজয়) দ্বারা। তিনি তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে। যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, আল্লাহ তাদের অতি প্রসন্ন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট। তাঁরাই আল্লাহর দল। জেনে রেখো যে, আল্লাহর দলই সফলকাম। (মুজাদালাহঃ ২২)
পারে, যদি তার পায়ে কোন অপবিত্রতা লেগে না থাকে। অবশ্য মক্কা মদিনার হারাম মসজিদ প্রবেশ করার অনুমতি কোন অমুসলিমকে দেওয়া যাবে না। কারণ আল কুরআনে সূরা তাওবার ২৮ নং আয়াতে এর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। (লাজনাহে দায়েমাহ)