ফাসেক হল সেই ব্যক্তি, যে অবৈধ, হারাম বা নিষিদ্ধ কাজ করে এবং ফরয বা ওয়াজেব কাজ ত্যাগ করে; অর্থাৎ কবীরা গুনাহ করে। যেমন, ধূমপান করে, বিড়ি-সিগারেট খায়, জর্দা-তামাক প্রভৃতি মাদকদ্রব্য ব্যবহার করে, গাঁটের নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে, অথবা সূদ বা ঘুস খায়, অথবা মিথ্যা বলে, অথবা (অবৈধ প্রেম) ব্যাভিচার করে, অথবা দাড়ি চাঁছে বা (এক মুঠির কম) ছেঁটে ফেলে, অথবা মুশারিকদের যবেহ (হালাল মনে না করে) খায়, (হালাল মনে করে খেলে তাঁর পিছনে নামায হবে না।) অথবা স্ত্রী কন্যাকে বেপর্দা রেখে তাঁদের ব্যাপারে ঈর্ষাহীন হয়, অথবা মা বাপকে দেখে না বা তাঁদেরকে ভাত দেয় না ইত্যাদি।
উক্ত সকল ব্যক্তি এবং তাঁদের অনুরূপ অন্যান্য ব্যক্তির পিছনে নামায মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। বিধায় তাকে ইমামরূপে নির্বাচন ও নিয়োগ করা বৈধ ও উচিৎ নয়। কিন্তু যদি কোন কারণে বা চাপে পরে বাধ্য হয়েই তাঁর পিছনে নামায পড়তেই হয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে।২০৪
সাহাবাগণের যামানায় সাহাবাগণ ফাসেকের পিছনে নামায পরেছেন। আব্দুল্লাহ বিন উমার (রঃ) হাজ্জাজ্জের পিছনে নামায পড়েছেন। ২০৫ আবূ সাঈদ খুদরী (রঃ) মারওআনের পিছনে নামায পড়েছেন। ২০৬
তৃতীয় খলীফা উসমান (রাঃ) ফিতনার সময় যখন স্বগৃহে অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন উবাইদুল্লাহ বিন আদী বিন খিয়ার তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আপনি জনসাধারণের ইমাম। আর আপনার উপর যে বিপদ এসেছে, তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। ফিতনার ইমাম আমাদের নামাযের ইমামতি করছে; অথচ তাঁর পশ্চাতে নামায পড়তে আমারা দ্বিধাবোধ করি।’ তিনি বললেন, “ নামায হল মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। সুতরাং লোকে ভাল ব্যবহার করলে তাঁদের সাথেও ভাল ব্যবহার কর। আর মন্দ ব্যবহার করলে তাঁদের সাথে মন্দ ব্যবহার করা থেকে দূরে থাক।” ২০৭