দ্বীনী প্রশ্নোত্তর নামায আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি
যোহরের পূর্বে ৪ রাকাআত সুন্নত এক সালামে পড়া চলে কি?

যোহরের পূর্বে ও পরে এবং আসরের পূর্বে ৪ রাকাআত সুন্নত ২ রাকাআত করে পড়ে সালাম ফিরা উত্তম। কারণ মহানবী (সঃ) বলেন, “রাত ও দিনের নামায দুই রাকাআত করে।” ১৮৮ তবে একটানা ৪ রাকাআত এক সালামেও পড়া বৈধ। মহানবী (সঃ) বলেন, “ যোহরের পূর্বে ৪ রাকাআত; (যার মাঝে কোন সালাম নেই,) তাঁর জন্য আসমানের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হয়।” ১৮৯

আল্লামা আলবানীর শেষ তাহক্বীকে বন্ধনীর মাঝের শব্দগুলি সহীহ নয়। কিন্তু অন্য বর্ণনা দ্বারা ৪ রাকাআত এক সালামে পড়ার সমর্থন মেলে। আবূ আইয়ুব আনসারী (রঃ) বলেন, নবী (সঃ) সূর্য ঢলার সময় ৪ রাকাআত নামায প্রত্যহ পড়তেন। একদা আমি বললাম, “হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আপনি সূর্য ঢলার সময় এই ৪ রাকাআত প্রত্যহ পড়ছেন?” তিনি বললেন, “সূর্য ঢলার সময় আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয় এবং যোহরের নামায না পড়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয় না। অতএব আমি পছন্দ করি যে, এই সময় আমার নেক আমল(আকাশে আল্লাহ্‌র নিকট) উঠানো হোক।” আমি বললাম, “তাঁর প্রত্যেক রাকাআতেই কি কিরাআত আছে?” তিনি বললেন, “হ্যাঁ।” আমি বললাম, “তাঁর মাঝে কি পৃথককারী সালাম আছে?” তিনি বললেন, “না।” ১৯০

আলী (রঃ) বলেন, “নবী (সঃ) আসরের পূর্বে ৪ রাকাআত নামায পড়তেন এবং প্রত্যেক দুই রাকাআতে আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী ফিরিশতা, আম্বিয়া ও তাঁদের আনসারী মুমিন-মুসলিমদের প্রতি সালাম (তাশাহহুদ) দিয়ে পৃথক করতেন। আর সর্বশেষে সালাম ফিরতেন।” ১৯১

১৮৮ (আবূ দাঊদ), ১৮৯ (আবূ দাঊদ ১২৭০, ইবনে মাজাহ ১১৫৭, ইবনে খুযাইমা ১২১৪, সাহীহুল জামে ৮৮৫ নং), ১৯০ (মুখতাসারুশ শামাইলিল মুহাম্মাদিয়্যাহ, আলবানী ২৪৯ নং), ১৯১ (আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, সিঃ সহীহাহ ২৩৭ নং)