আবূ হুরাইরা (রঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে বলতে শুনেছি যে, “নিশ্চয় আমরা উম্মতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাঁদের উযূর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তাঁর চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।” (অর্থাৎ সে যেন তাঁর উযূর সীমার অতিরিক্ত অংশও ধুয়ে ফেলে।) ১৩১(বুখারী, মুসলিম) উলামাগণ বলেছেন, “সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তাঁর চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।”---এই বাক্যটি নবী (সঃ) এর নয়, বরং তা আবূ হুরাইরার। আর আবূ হুরাইরা নিজেও উযূতে হাত ধোয়ার সময় বগল পর্যন্ত ধুতেন। অতঃএব আমাদের কি তা করা বৈধ?
অনেকের মতে তা বৈধ। যেহেতু হাদীসের বক্তব্য থেকে আবূ হুরাইরা তাই বুঝেছিলেন এবং সাহাবাদের বুঝে আমাদের হাদীস বুঝা দরকার। কিন্তু সঠিক এই যে, তা কেবল আবূ হুরাইরা বুঝ। যেহেতু “গুরাহ” বলে চেহারার ঔজ্জ্বল্যকে। আর তা বৃদ্ধি করার উপায় নেই। সুতরাং কুরআনে নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত (অর্থাৎ, কনুই ও গাঁট) পর্যন্ত ধোয়াই বিধেয়। ১৩২ (আলবানী)