সেদিন তাদের প্রত্যেকেরই একটি গুরুতর অবস্থা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। আল-বায়ান
সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকবে। তাইসিরুল
সেদিন তাদের প্রত্যেকের হবে এমন গুরুতর অবস্থা যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে। মুজিবুর রহমান
For every man, that Day, will be a matter adequate for him. Sahih International
৩৭. সেদিন তাদের প্রত্যেকের হবে এমন গুরুতর অবস্থা যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে।(১)
(১) কাতাদা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, প্ৰত্যেক মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে এবং পিতা মাতা স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছ থেকে সেদিন মুখ লুকিয়ে ফিরবে। দুনিয়াতে পারস্পরিক সাহায্য ও সহযোগিতা ভ্ৰাতাদের মধ্যে হয়। এর চেয়ে বেশী পিতা-মাতাকে সাহায্য করার চিন্তা করা হয়। এবং স্বভাবগত কারণে এর চেয়েও বেশী স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আয়াতে নীচ থেকে উপরের সম্পর্ক যথাক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে। [দেখুন: ইবন কাসীর] হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ একেবারেই উলংগ হয়ে উঠবে। একথা শুনে তাঁর পবিত্র স্ত্রীদের মধ্য থেকে কোন একজন ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের লজ্জাস্থান কি সেদিন সবার সামনে খোলা থাকবে? জবাবে রাসূলুল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই আয়াতটি তিলাওয়াত করে বলেন, সেদিন অন্যের দিকে তাকাবার মতো হুশ ও চেতনা কারো থাকবে না। [নাসাঈ: ২০৮৩, তিরমিযী: ৩৩৩২, ইবনে মাজাহ: ৪২৭৬, মুসনাদে আহমাদ: ৬/৮৯]।
তাফসীরে জাকারিয়া৩৭। সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন গুরুতর অবস্থা হবে, যা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে। [1]
[1] কিংবা যা নিজের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব থেকে অমুখাপেক্ষী ও বেপরোয়া করে তুলবে। হাদীসে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন যে, মানুষ কিয়ামতের ময়দানে নগ্ন শরীর, খালি পা এবং খাত্নাবিহীন (উলঙ্গ) অবস্থায় হাযির হবে। আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, এই অবস্থা হলে এক অপরের লজ্জাস্থানের প্রতি দৃষ্টি পড়বে না কি? নবী (সাঃ) এর উত্তরে উক্ত আয়াত তেলাঅত করলেন। অর্থাৎ, সেদিন প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে চিন্তামগ্ন থাকবে। (তিরমিযী সূরা আবাসার তাফসীর, নাসাঈ জানাযা অধ্যায়) কারো কারো মতে, মানুষ নিজের ঘরের লোক থেকে এই জন্য পলায়ন করবে, যাতে সে তার সেই কষ্ট এবং দুঃখ না দেখে যাতে সে পতিত হবে। আবার কেউ কেউ বলেন, এই জন্য পালাবে যে, তারা জানতে পারবে যে, তারা তার কিছু উপকার করতে পারবে না এবং তার কোন কাজেও আসবে না। (ফাতহুল বারী)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান