৭৮ সূরাঃ আন-নাবা | An-Naba' | سورة النبإ - আয়াতঃ ২০
৭৮:২০ وَّ سُیِّرَتِ الۡجِبَالُ فَكَانَتۡ سَرَابًا ﴿ؕ۲۰﴾
و سیرت الجبال فكانت سرابا ﴿۲۰﴾

আর পর্বতসমূহকে চলমান করা হবে, ফলে সেগুলো মরীচিকা হয়ে যাবে। আল-বায়ান

আর পর্বতগুলোকে করা হবে চলমান, ফলে তা নিছক মরীচিকায় পরিণত হবে। তাইসিরুল

এবং সঞ্চালিত করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে সেগুলি হয়ে যাবে মরীচিকা বৎ। মুজিবুর রহমান

And the mountains are removed and will be [but] a mirage. Sahih International

২০. আর চলমান করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে সেগুলো হয়ে যাবে মরীচিকা(১),

(১) পাহাড়ের চলার ও মরীচিকায় পরিণত হবার মানে হচ্ছে, দেখতে দেখতে মুহুর্তের মধ্যে পর্বতমালা স্থানচ্যুত হয়ে যাবে। তারপর ভেঙ্গে চুৰ্ণবিচূর্ণ হয়ে এমনভাবে মরীচিকার মতো ছড়িয়ে পড়বে যে, মনে হবে সেখানে কিছু আছে, কিন্তু কিছু নেই। এর পরই যেখানে একটু আগে বিশাল পর্বত ছিল সেখানে আর কিছুই থাকবে না। এ অবস্থাকে অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “এরা আপনাকে জিজ্ঞেস করছে, সেদিন এ পাহাড় কোথায় চলে যাবে? এদের বলে দিন, আমার রব তাদেরকে ধূলোয় পরিণত করে বাতাসে উড়িয়ে দেবেন এবং যমীনকে এমন একটি সমতল প্রান্তরে পরিণত করে দেবেন যে, তার মধ্যে কোথাও একটুও অসমতল ও উঁচু-নীচু জায়গা এবং সামন্যতম ভাজও দেখতে পাবে না।” [সূরা ত্বা-হা: ১০৫–১০৭] [ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

২০। এবং চালিত করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে তা মরীচিকায় পরিণত হবে। [1]

[1] سراب (মরীচিকা) সেই বালিরাশিকে বলা হয়, যা (রোদের তাপে) দূর হতে পানি মনে হয়। পাহাড়ও মরীচিকার মত কেবল দূর হতে দৃশ্যমান বস্তুতে পরিণত হয়ে যাবে। আর তারপরই তা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তার কোন চিহ্ন পর্যন্ত বাকী থাকবে না। কেউ কেউ বলেছেন যে, কুরআনে (কিয়ামতের দিন) পাহাড়ের নানান ধরণের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যাদের মাঝে সমন্বয়ের পথ হল এই যে, (১) প্রথমে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে। فدكتا دكة واحدة (সূরা হাক্ক্বাহ ১৪ আয়াত) (২) তারপর তা ধূনিত রঙ্গীন পশমের মত হয়ে যাবে। كالعهن المنفوش (সূরা ক্বারিআহ ৫ আয়াত) (৩) তারপর তা হবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণার মত। فكانت هباء منبثا (ওয়াক্বিআহ ৬আয়াত) (৪) তারপর তা উড়িয়ে দেওয়া হবে। ينسفها ربي نسفًا (সূরা ত্বাহা ১০৫ আয়াত) আর পঞ্চম অবস্থায় তা سراب মরীচিকার মত অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে; যেমন এখানে বলা হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান