৫৫ সূরাঃ আর-রাহমান | Ar-Rahman | سورة الرحمن - আয়াতঃ ১৭
৫৫:১৭ رَبُّ الۡمَشۡرِقَیۡنِ وَ رَبُّ الۡمَغۡرِبَیۡنِ ﴿ۚ۱۷﴾
رب المشرقین و رب المغربین ﴿۱۷﴾

তিনি দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমের* রব। আল-বায়ান

তিনিই দু’টি উদয় স্থান ও দু’টি অস্তাচলের নিয়ন্ত্রক, তাইসিরুল

তিনিই দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের নিয়ন্তা। মুজিবুর রহমান

[He is] Lord of the two sunrises and Lord of the two sunsets. Sahih International

* দুই পূর্ব বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের উদয়স্থল এবং দুই পশ্চিম বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের অস্তস্থলকে বুঝানো হয়েছে।

১৭. তিনিই দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের রব।(১)

(১) দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের অর্থ শীতকালের সবচেয়ে ছোট দিন এবং গ্ৰীষ্মকালের সবচেয়ে বড় দিনের উদয়াচল ও অস্তাচলও হতে পারে। আবার পৃথিবীর দুই গোলার্ধের উদয়াচল ও অস্তাচলও হতে পারে। শীত মৌসুমের সর্বাপেক্ষা ছোট দিনে সূর্য অত্যন্ত সংকীর্ণ একটি কোণ সৃষ্টি করে উদয় হয় এবং অস্ত যায়। অপর দিকে গ্ৰীষ্মের সর্বাপেক্ষা বড় দিনে অতি বিস্তৃত কোণ সৃষ্টি করে উদয় হয় এবং অস্ত যায়। প্রতি দিন এ উভয় কোণের মাঝে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের স্থান পরিবর্তিত হতে থাকে। এ কারণে কুরআনের অন্য এক স্থানে বলা হয়েছে, (فَلَا أُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ إِنَّا لَقَادِرُونَ) [সূরা আল-মা'আরিজ: ৪০]। অনুরূপ পৃথিবীর এক গােলার্ধে যখন সূর্য উদয় হয় ঠিক সে সময় অন্য গোলার্ধে তা অস্ত যায়। এভাবেও পৃথিবীর দু'টি উদয়াচল ও অস্তাচল হয়ে যায়। [ইবন কাসীর; আত-তাহরীর ওয়াত তানিওয়ীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৭) তিনিই দুই উদায়াচল ও দুই অস্তাচলের প্রতিপালক। [1]

[1] একটি হল গ্রীষ্মকালের উদয়াচল এবং দ্বিতীয়টি হল শীতকালের উদয়াচল। অস্তাচলের ব্যাপারটাও অনুরূপ। এই কারণে উভয়কে দ্বিবচন শব্দে উল্লেখ করেছেন। ঋতু অনুযায়ী উদয়াচল ও অস্তাচলের ভিন্নতায় মানুষ ও জ্বিনদের জন্য রয়েছে বহু উপকারিতা। তাই এটাকেও নিয়ামত হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান