যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে বল, ‘যারা আল্লাহর দিবসসমূহ প্রত্যাশা করে না, এরা যেন তাদের ক্ষমা করে দেয়, যাতে আল্লাহ প্রত্যেক কওমকে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রতিদান দিতে পারেন। আল-বায়ান
মু’মিনদেরকে বল ঐ লোকদেরকে ক্ষমা করতে যারা আল্লাহর ‘আযাবের দিন আসার ব্যাপারে কোন আশংকাবোধ করে না। কেননা আল্লাহই (ভাল বা মন্দ) প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের কৃতকর্ম অনুসারে প্রতিফল দিবেন। তাইসিরুল
মু’মিনদেরকে বলঃ তারা যেন ক্ষমা করে তাদেরকে যারা আল্লাহর দিনগুলির প্রত্যাশা করেনা, এটা এ জন্য যে আল্লাহ প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তার কৃতকর্মের জন্য প্রতিদান দিবেন। মুজিবুর রহমান
Say, [O Muhammad], to those who have believed that they [should] forgive those who expect not the days of Allah so that He may recompense a people for what they used to earn. Sahih International
১৪. যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে বলুন, তারা যেন ক্ষমা করে ওদেরকে, যারা আল্লাহর দিনগুলোর প্রত্যাশা করে না। যাতে আল্লাহ প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রতিদান দিতে পারেন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৪) বিশ্বাসীদের বল, তারা যেন ক্ষমা করে ওদেরকে; যারা আল্লাহর দিনগুলির আশা করে না।[1] যাতে আল্লাহ এক সম্প্রদায়কে তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দেন। [2]
[1] অর্থাৎ, যারা এই ভয় রাখে না যে, আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের সাহায্য করার এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখেন। উদ্দেশ্য হল কাফের ও অবিশ্বাসীরা। أيَّام الله (আল্লাহর দিনগুলি) বলতে ঘটনাঘটন (আযাব-শাস্তি ইত্যাদি) যেমন, {وَذَكِّرْهُمْ بأَيَّامِ اللهِ} (إبراهيم: ৫) আয়াতে রয়েছে। অর্থাৎ, সেই কাফেরদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন কর, যারা আল্লাহর আযাব এবং তাঁর পাকড়াও থেকে বেপরোয়া। এ নির্দেশ প্রাথমিক পর্যায়ে মুসলিমদেরকে দেওয়া হয়েছিল। পরে যখন তারা মোকাবেলা করার যোগ্য হয়ে গেল, তখন তাদের প্রতি কঠোর হওয়ার এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (জিহাদ) করার নির্দেশ দেওয়া হল।
[2] অর্থাৎ, যখন তোমরা তাদের দেওয়া যাবতীয় কষ্টে ধৈর্য ধারণ করবে এবং তাদের যুলুম-অত্যাচারকে ক্ষমা করবে, তখন এই সমস্ত পাপ তাদের ঘাড়ে থাকবে, যার শাস্তি কিয়ামতের দিন তাদেরকে দেওয়া হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান