আর যদি আমি চাইতাম, তবে আমি তোমাদের পরিবর্তে ফেরেশতা সৃষ্টি করে পাঠাতাম যারা যমীনে তোমাদের উত্তরাধিকার হত। আল-বায়ান
আমি ইচ্ছে করলে তোমাদের মধ্য হতে ফেরেশতা পয়দা করতে পারি যারা পর পর উত্তরাধিকারী হবে। তাইসিরুল
আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের মধ্য হতে মালাইকা/ফেরেশতা সৃষ্টি করতে পারতাম, যারা পৃথিবীতে উত্তরাধিকারী হত। মুজিবুর রহমান
And if We willed, We could have made [instead] of you angels succeeding [one another] on the earth. Sahih International
৬০. আর যদি আমরা ইচ্ছে করতাম তবে তোমাদের পরিবর্তে ফেরেশতা সৃষ্টি করতে পারতাম, যারা যমীনে উত্তরাধিকারী হত।(১)
(১) অধিকাংশ তাফসীরবিদ এখানে منكم শব্দটির অর্থ করেছেন, بدلاً منكم বা তোমাদের পরিবর্তে। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, আমি ইচ্ছা করলে এমন কাজও করতে পারি, যার নযীর এপর্যন্ত কায়েম হয়নি। অর্থাৎ মানুষের ঔরসে ফেরেশতাও সৃষ্টি করতে পারি। [ফাতহুল কাদীর]
আয়াতের শেষে বলা হয়েছে, يخلفون। এর অর্থ তারা যমীনের খলীফা বা প্রতিনিধির মর্যাদা লাভ করত। অথবা তোমাদের স্থলাভিষিক্ত হতো। আয়াতের আরেক অর্থ হচ্ছে, তারা তোমাদের মত বংশবিস্তার করত। ফেরেশতারা উত্তরাধিকার রেখে যেত। [ইবনে কাসীর, বাগভী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬০) আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের পরিবর্তে ফিরিশতাদেরকে পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করতে পারতাম।[1]
[1] অর্থাৎ, তোমাদেরকে শেষ করে তোমাদের স্থানে ফিরিশতাদেরকে আবাদ করতাম। তারা তোমাদেরই মত পরস্পরের প্রতিনিধিত্ব করত। অর্থাৎ, ফিরিশতাদের আসমানে থাকা এমন কোন মর্যাদার ব্যাপার নয় যে, তাদের ইবাদত করা হবে। এটা কেবল আমি আমার ইচ্ছা ও ফায়সালায় ফিরিশতাদেরকে আসমানে এবং মানুষদেরকে যমীনে আবাদ করেছি। আমি ইচ্ছা করলে ফিরিশতাদেরকেও যমীনে আবাদ করতে পারি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান