৩৮ সূরাঃ সোয়াদ | Ṣād | سورة ص - আয়াতঃ ২০
৩৮:২০ وَ شَدَدۡنَا مُلۡكَهٗ وَ اٰتَیۡنٰهُ الۡحِكۡمَۃَ وَ فَصۡلَ الۡخِطَابِ ﴿۲۰﴾
و شددنا ملكهٗ و اتینه الحكمۃ و فصل الخطاب ﴿۲۰﴾

আর আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা দিয়েছিলাম। আল-বায়ান

আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছিলাম, আর তাকে দিয়েছিলাম জ্ঞান-বুদ্ধি-বিচক্ষণতা আর বিচারকার্য ও কথাবার্তায় উত্তম সিদ্ধান্ত দানের যোগ্যতা। তাইসিরুল

আমি তার রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফাইসালাকারী বাগ্মিতা। মুজিবুর রহমান

And We strengthened his kingdom and gave him wisdom and discernment in speech. Sahih International

২০. আর আমরা তার রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম হিকমত ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা।(১)

(১) হিকমত অর্থ প্রজ্ঞা। অর্থাৎ আমি তাকে অসাধারণ বিবেকবুদ্ধি দান করেছিলাম। কেউ কেউ হিকমতের অর্থ নিয়েছেন নবুওয়াত। (وَفَصْلَ الْخِطَابِ) এর বিভিন্ন তাফসীর করা হয়েছে। কেউ বলেছেন, এর ভাবাৰ্থ অসাধারণ বাগ্মিতা। দাউদ আলাইহিস সালাম উচ্চস্তরের বক্তা ছিলেন। বক্তৃতায় হামদ ও সালাতের পর اما بعد শব্দ সর্বপ্রথম তিনিই বলেছিলেন। তার বক্তব্য জটিল ও অস্পষ্ট হতো না। সমগ্ৰ ভাষণ শোনার পর শ্রোতা একথা বলতে পারতো না যে তিনি কি বলতে চান তা বোধগম্য নয়। বরং তিনি যে বিষয়ে কথা বলতেন তার সমস্ত মূল কথাগুলো পরিষ্কার করে তুলে ধরতেন এবং আসল সিদ্ধান্ত প্ৰত্যাশী বিষয়টি যথাযথভাবে নির্ধারণ করে দিয়ে তার দ্ব্যর্থহীন জবাব দিয়ে দিতেন। কোন ব্যক্তি জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা বিচার-বিবেচনা ও বাকচাতুর্যের উচ্চতম পর্যায়ে অবস্থান না করলে এ যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। কেউ কেউ বলেন, এর ভাবাৰ্থ সর্বোত্তম বিচারশক্তি। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাকে ঝগড়া-বিবাদ মেটানো ও বাদানুবাদ মীমাংসা করার শক্তি দান করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে শব্দের মধ্যে একই সময়ে উভয় অর্থের পুরোপুরি অবকাশ রয়েছে। [তাবারী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২০) আমি তার রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম[1] এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা[2] ও বাগ্মিতা। [3]

[1] সর্বপ্রকার বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক মাধ্যম দ্বারা।

[2] অর্থাৎ, নবুঅত, প্রজ্ঞা, সঠিক কথা ও কর্ম।

[3] অর্থাৎ, বিচার ও ফায়সালা করার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বুঝ শক্তি এবং প্রমাণ উপস্থাপনা করার ক্ষমতা ও বর্ণনা শক্তি।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান