৩৫ সূরাঃ ফাতির | Fatir | سورة فاطر - আয়াতঃ ১৪
৩৫:১৪ اِنۡ تَدۡعُوۡهُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡا دُعَآءَکُمۡ ۚ وَ لَوۡ سَمِعُوۡا مَا اسۡتَجَابُوۡا لَکُمۡ ؕ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یَکۡفُرُوۡنَ بِشِرۡکِکُمۡ ؕ وَ لَا یُنَبِّئُکَ مِثۡلُ خَبِیۡرٍ ﴿۱۴﴾
ان تدعوهم لا یسمعوا دعاءکم ۚ و لو سمعوا ما استجابوا لکم و یوم القیمۃ یکفرون بشرککم و لا ینبىک مثل خبیر ۱۴

যদি তোমরা তাদেরকে ডাক, তারা তোমাদের ডাক শুনবে না; আর শুনতে পেলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেবে না এবং কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শরীক করাকে অস্বীকার করবে। আর সর্বজ্ঞ আল্লাহর ন্যায় কেউ তোমাকে অবহিত করবে না। আল-বায়ান

তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনবে না আর যদি শুনেও, তবুও তোমাদের (ডাকে) সাড়া দিতে পারবে না। আর তোমরা যে তাদেরকে (আল্লাহর) অংশীদার গণ্য করতে, ক্বিয়ামতের দিন তা তারা অস্বীকার করবে। কেউই তোমাদেরকে সর্বজ্ঞ আল্লাহর মত খবর জানাতে পারবে না। তাইসিরুল

তোমরা তাদেরকে আহবান করলে তারা তোমাদের আহবান শুনবেনা এবং শুনলেও তোমাদের আহবানে সাড়া দিবেনা। তোমরা তাদেরকে যে শরীক করছ তা তারা কিয়ামাত দিবসে অস্বীকার করবে। তাঁর মত কেহই তোমাকে অবহিত করতে পারেনা, তিনি সর্বজ্ঞ। মুজিবুর রহমান

If you invoke them, they do not hear your supplication; and if they heard, they would not respond to you. And on the Day of Resurrection they will deny your association. And none can inform you like [one] Acquainted [with all matters]. Sahih International

১৪. তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনবে না এবং শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর তোমরা তাদেরকে যে শরীক করেছ তা তারা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করবে।(১) সর্বজ্ঞ আল্লাহর মত কেউই আপনাকে অবহিত করতে পারে না।(২)

(১) অর্থাৎ তারা পরিষ্কার বলে দেবে, আমরা কখনো এদেরকে বলিনি, আমরা আল্লাহর শরীক এবং তোমরা আমাদের ইবাদাত করো। বরং আমরা এও জানতাম না যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহ রব্বুল আলমীনের সাথে শরীক করছে এবং আমাদের কাছে প্রার্থনা করছে। এদের কোন প্রার্থনা আমাদের কাছে আসেনি এবং এদের কোন নজরানা ও উৎসর্গ আমাদের হস্তগত হয়নি। বরং তারা বলবে, “আপনিই তো কেবল আমাদের অভিভাবক, তারা নয়।” [সাবা: ৪১]

(২) সর্বতোভাবে অবহিত বলে আল্লাহকেই বুঝানো হয়েছে। [সা’দী; মুয়াস্‌সার; জালালাইন] অর্থাৎ অন্য কোন ব্যক্তি তো বড় জোর বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি-প্রমাণ পেশ করে শির্ক খণ্ডন ও মুশরিকদের মাবুদদের শক্তিহীনতা বর্ণনা করবে। কিন্তু আমি সরাসরি প্রকৃত অবস্থা জানি। আমি নির্ভুল জ্ঞানের ভিত্তিতে তোমাদের জানাচ্ছি, লোকেরা যাদেরকেই আমার সার্বভৌম কর্তৃত্বের মধ্যে স্বাধীন ক্ষমতাসম্পন্ন করে রেখেছে তারা সবাই ক্ষমতাহীন। তাদের কাছে এমন কোন শক্তি নেই। যার মাধ্যমে তারা কারো কোন কাজ সফল বা ব্যর্থ করে দিতে পারে। আমি সরাসরি জানি, কিয়ামতের দিন মুশরিকদের এসব মা’বুদরা নিজেরাই তাদের শির্কের প্রতিবাদ করবে।

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৪) তোমরা তাদের আহবান করলে তারা তোমাদের আহবান শুনবে না[1] এবং শুনলেও তোমাদের আহবানে সাড়া দেবে না।[2] তোমরা তাদেরকে যে অংশী করছ, তা ওরা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করবে। [3] আর সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)র ন্যায় কেউই তোমাকে অবহিত করতে পারে না।[4]

[1] অর্থাৎ, যদি তোমরা কষ্টের সময় তাদেরকে ডাক, তবে তারা তোমাদের ডাক শুনবেই না, কারণ তারা পাথর জাতীয় বস্তু অথবা মাটির গর্ভে সমাধিস্থ (জাগতিক সংস্পর্শের বাইরে)।

[2] অর্থাৎ, যদি তারা শুনতেও পায় তবুও কোন লাভ নেই, কারণ তারা তোমাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়।

[3] এবং বলবে (مَا كُنْتُمْ إِيَّانَا تَعْبُدُونَ) অর্থাৎ, তোমরা আমাদের ইবাদত করতে না। (সূরা ইউনুস ২৮ আয়াত) (إِنْ كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَافِلِينَ) অর্থাৎ, আমরা তো তোমাদের ইবাদত থেকে উদাসীন ছিলাম।’’ (ঐ ২৯ আয়াত) এই আয়াত থেকে এটাও বোঝা যায় যে, আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, তারা সকলে পাথরের নিথর মূর্তিই নয়, বরং তাতে জ্ঞানসম্পন্ন (ফিরিশতা, জ্বিন, শয়তান এবং নেক মানুষ)ও আছে। তবেই না এইভাবে তারা অস্বীকার করবে। আর এটাও জানা গেল যে, প্রয়োজন পূরণের আশায় তাদেরকে আহবান করা শিরক।

[4] কারণ, তাঁর মত পরিপূর্ণ ইলম কারোর নিকট নেই। তিনিই সকল বস্তুর রহস্য ও প্রকৃতত্ব সম্পর্কে পূর্ণ খবর রাখেন। আর ঐ সকল উপাস্য যাদেরকে ডাকা হয়, তাদের যে কোন প্রকার এখতিয়ার বা ক্ষমতা নেই, তারা যে কারো ডাকে সাড়া দিতে পারে না এবং কিয়ামতের দিন তারা যে তাদের উপাসনার কথা অস্বীকার করবে -- এ সব কিছু উক্ত ইলমের শামিল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান