‘হে আমার প্রিয় বৎস, নিশ্চয় তা (পাপ-পুণ্য) যদি সরিষা দানার পরিমাণ হয়, অতঃপর তা থাকে পাথরের মধ্যে কিংবা আসমানসমূহে বা যমীনের মধ্যে, আল্লাহ তাও নিয়ে আসবেন; নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সর্বজ্ঞ’। আল-বায়ান
হে বৎস! কোন বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় আর তা থাকে পাথরের ভিতরে অথবা আকাশে অথবা যমীনের নীচে, আল্লাহ তাকে এনে হাজির করবেন। আল্লাহ সূক্ষ্ণদর্শী, সব কিছুর খবর রাখেন। তাইসিরুল
হে বৎস! কোন কিছু যদি সরিষার দানা পরিমানও হয় এবং তা যদি থাকে শিলাগর্ভে অথবা আকাশে কিংবা মাটির নীচে, আল্লাহ ওটাও হাযির করবেন। আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সর্ববিষয়ে খবর রাখেন। মুজিবুর রহমান
[And Luqman said], "O my son, indeed if wrong should be the weight of a mustard seed and should be within a rock or [anywhere] in the heavens or in the earth, Allah will bring it forth. Indeed, Allah is Subtle and Acquainted. Sahih International
১৬. হে আমার প্রিয় বৎস! নিশ্চয় তা (পাপ-পুণ্য) যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, অতঃপর তা থাকে শিলাগর্ভে অথবা আসমানসমূহে কিংবা যমীনে, আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন।(১) নিশ্চয়ই আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।
(১) এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আসমান ও যমীন এবং এর মাঝে যা কিছু আছে, এর প্রতিটি বিন্দুকণা আল্লাহর অসীম জ্ঞানের আওতাধীন এবং সবকিছুর উপর তাঁর পূর্ণ ক্ষমতা ও আধিপত্য রয়েছে। কোন বস্তু যত গভীর আঁধার বা যবনিকার অন্তরালেই থাক না কেন - মহান আল্লাহর জ্ঞান ও দৃষ্টির আড়ালে থাকতে পারে না এবং তিনি যে কোন বস্তুকে যখন ও যেখানে ইচ্ছা উপস্থিত করতে পারেন। যাবতীয় বস্তু মহান আল্লাহর জ্ঞান ও ক্ষমতার আওতাভুক্ত। আল্লাহর জ্ঞান ও তাঁর পাকড়াও এর বাইরে কেউ যেতে পারে না। পাথরের মধ্যে ছোট্ট একটি কণা তোমার দৃষ্টির অগোচরে থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর কাছে তা সুস্পষ্ট। আকাশ মণ্ডলে একটি ক্ষুদ্রতম কণিকা তোমার থেকে বহু দূরবর্তী হতে পারে কিন্তু তা আল্লাহর বহু নিকটতর। ভূমির বহু নিম্ন স্তরে পতিত কোন জিনিস, তোমার কাছে কোথায়, কোন অবস্থায় ও কী অবস্থায় রয়েছে, তুমি যে কোন সৎ বা অসৎ কাজই করো না কেন, তা আল্লাহর অগোচরে নয়। তিনি কেবল তা জানেন তাই নয় বরং যখন হিসেব-নিকেশের সময় আসবে তখন তিনি তোমাদের প্রত্যেকটি কাজের ও নড়াচড়ার রেকর্ড সামনে নিয়ে আসবেন। [কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৬) ‘হে বৎস ! কোন (পাপ অথবা পুণ্য) যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়[1] এবং তা যদি কোন পাথরের ভিতরে অথবা আকাশমন্ডলীতে অথবা মাটির নীচে থাকে, তাহলে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন। আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সকল বিষয়ে অবগত।
[1] هَا সর্বনামের ইঙ্গিত যদি خَطِيئَة এর দিকে হয়, তাহলে তার অর্থ হবে আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপকর্ম। আর যদি خَصلَة এর দিকে হয়, তাহলে তার অর্থ হবে ভাল অথবা মন্দের যে কোন অভ্যাস। উদ্দেশ্য এই যে, মানুষ ভাল অথবা মন্দ কর্ম যতই গোপনে করুক না কেন, তা আল্লাহর কাছে লুক্কায়িত থাকতে পারে না; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তা উপস্থিত করে নেবেন। অর্থাৎ, তার যথাযথভাবে ভাল আমলের ভাল প্রতিদান ও মন্দ আমলের মন্দ প্রতিফল দেবেন। সরিষা দানার উদাহরণ এই জন্য দিয়েছেন যে,তা এত ছোট হয়, যার না ওজন বুঝা যায় আর না দাঁড়িপাল্লাকে ঝুঁকাতে পারে। অনুরূপ পাথর (সাধারণত বসবাসের স্থান থেকে দূরে জঙ্গল বা পাহাড়ে) একান্ত গুপ্ত ও সুরক্ষিত স্থান। এই অর্থ হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যদি কোন ব্যক্তি এমন ছিদ্রহীন পাথরেও কোন আমল করে, যার কোন দরজা বা জানালা নেই, তাহলেও আল্লাহ্ তাআলা তাও মানুষের সামনে প্রকাশ করে দেবেন সে আমল যে ধরনেরই হোক না কেন।’’ (আহমদ ৩ /২৮) এই জন্য যে, আল্লাহ তাআলা সূক্ষ্মদর্শী; তিনি অতি সূক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন। নিতান্ত গুপ্ত বস্তুও তাঁর জ্ঞান বহির্ভূত নয় এবং তিনি সর্বজ্ঞ; রাতের অন্ধকারে পিঁপড়ের চলা-ফেরা করার খবরও তিনি রাখেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান