সৎকর্মশীলদের জন্য হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ, আল-বায়ান
সৎকর্মশীলদের জন্য পথ নির্দেশ ও রহমত। তাইসিরুল
পথ নির্দেশ ও দয়া স্বরূপ, সৎকর্মপরায়ণদের জন্য। মুজিবুর রহমান
As guidance and mercy for the doers of good Sahih International
৩. পথ-নির্দেশ ও দয়াস্বরূপ মুহসিনদের জন্য(১);
(১) অর্থাৎ এ আয়াতগুলো সঠিক পথনির্দেশক এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহের রূপ লাভ করে এসেছে। কিন্তু এ পথনির্দেশনা ও অনুগ্রহ থেকে লাভবান হয় একমাত্র তারাই যারা সৎকাজ করার পথ অবলম্বন করে, সৎ হতে চায়, কল্যাণ ও ন্যায়ের সন্ধান করে এবং অসৎকাজ সম্পর্কে যখনই সতর্ক করে দেয়া হয় তখনই তা পরিহার করে এবং কল্যাণ ও ন্যায়ের পথ যখনই সামনে খুলে রেখে দেয়া হয় তখনই সে পথে চলতে শুরু করে। আর যারা অসৎকাজ করে ও অসৎ মনোবৃত্তির অধিকারী তারা এ পথনির্দেশনা থেকে লাভবান হবে না এবং এ অনুগ্রহেরও কোন অংশ পাবে না। [তাবারী, ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) সৎকর্মপরায়ণদের[1] জন্য পথনির্দেশ ও করুণা স্বরূপ;
[1] مُحسِن এক অর্থ হল, পিতা-মাতা, আত্মীয়, হকদার ও অভাবীদের সাথে সদ্ব্যবহারকারী। দ্বিতীয় অর্থ হল, সৎকর্মপরায়ণ; অর্থাৎ অসৎকর্ম থেকে দূরে থেকে সৎকর্ম সম্পাদনকারী। তৃতীয় অর্থ হল, আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে ইখলাস (আন্তরিকতা) ও একাগ্রতার সাথে আল্লাহর ইবাদতকারী। যেমন হাদীসে জিবরীলে বর্ণনা হয়েছে; ‘ইহসান’ হল এমনভাবে ইবাদত করা, যাতে মনে হয়, যেন আল্লাহকে দেখছি অথবা তিনি আমাকে দেখছেন। প্রকৃতপক্ষে কুরআন সারা পৃথিবীর জন্য করুণা ও পথপ্রদর্শক; কিন্তু তা হতে প্রকৃত উপকৃত হয়ে থাকে শুধুমাত্র পরহেযগার ও সৎকর্মপরায়ণগণই, তাই এখানে তাঁদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান